Belashuru Exclusive: গান গেয়ে বাংলাদেশে ডিঙি চালায় কিশোর মইনুদ্দিন, 'বেলাশুরু'-র জন্য সেই সুর খুঁজে আনলেন শিবপ্রসাদরা

Belashuru Exclusive: বাংলাদেশের এই মৈনুদ্দিনের পেশা ডিঙি বেয়ে নৌকা এপার ওপার করা। শ্যামবর্ণ এই কিশোরের গানের গলা নজর এবং মন দুইই কাড়ে। সীমানা পেরিয়ে এই খবর এসে পৌঁছেছিল কলকাতায়।

Continues below advertisement

কলকাতা: বাংলাদেশের রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, স্থানীয় ভাষায় বলা হয় রাতারগুল জলাবন। মিঠেজলের এই বন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। জলাবনে ঘোরার একমাত্র উপায় হল ডিঙি নৌকো। আর সেই নৌকো পারাপারের সময় যদি পর্যটকরা মৈনুদ্দিনের নৌকো পান, তাহলে তো উপরি পাওনা। কেন? কারণ আলো ছায়ায় ঘেরা জলাবনের সফরে মিশে যায় মৈনুদ্দিনের গানের সুর... 'বন্দে মায়া লাগাইসে..'

Continues below advertisement

বাংলাদেশের এই মৈনুদ্দিনের পেশা ডিঙি বেয়ে নৌকা এপার ওপার করা। শ্যামবর্ণ এই কিশোরের গানের গলা নজর এবং মন দুইই কাড়ে। সীমানা পেরিয়ে এই খবর এসে পৌঁছেছিল কলকাতায়। উইন্ডোজ-এর অফিসে। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় ঠিক করে ফেললেন, তাঁদের ছবিতে ব্যবহার করবেন এই 'বন্দে মায়া লাগাইসে..'। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবিপি লাইভকে বলছেন, 'মৈনুদ্দিল দাঁড় টানতে টানতে এই গান গায়। কলকাতার স্টুডিওতে ওকে নিয়ে এসে গাইতে বললে সেই গানের নিজস্বতা হারিয়ে যাবে। ও হয়তো গাইতেই পারবে না এই পরিবেশে। তাই আমরা পাড়ি দিয়েছিলাম রাতারগুল। মইনুদ্দিনের নৌকায় সফর করতে করতে ওর সম্মতি নিয়েই গান রেকর্ড করলাম। সেই গানই ব্যবহার করলাম আমাদের 'বেলাশুরু'-তে। দর্শক বড়পর্দায় যে গান শুনবেন, তা সীমানার ওপারের এক কিশোরের গলা, যার ঠিকানা রাতারগুল।'

আরও পড়ুন: Mother's Day Exclusive: প্রথম ছবির শ্যুটিং যেদিন শুরু হবে, সেদিন জানলাম মায়ের ক্যান্সার: নন্দিতা রায়

ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে 'বেলাশুরু'-র প্রথম গান 'সোহাগে আদরে'। এরপর মুক্তি পেয়েছে 'টাপা টিনি'। এই গানের ছন্দকে উপেক্ষা করতে পারেনি প্রায় গোটা বাংলা। সোশ্যাল মিডিয়া পা মিলিয়ে 'টাপা টিনি'-র তালে। তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকেই মেতেছেন ছন্দে। গানের সাফল্য শ্যুটিংয়ের দিনের কথা মনে করিয়ে যেন পরিচালক শিবপ্রসাদকে। বলছেন, 'সোনাঝুরি বনের ভিতরে টাপা টিনি-র শ্যুটিংয়ের দিনটা এখনও মনে আছে। আমরা বলেছিলাম, কোনও স্টেপ থাকবে না নাচের। শ্যুটিংয়ের দিন দেখছি গোটা ইউনিট কার্যত নাচছে। যে যার সঙ্গে খুশি.. কোনও নিয়ম নেই। যা মনে আসছে সেভাবেই নাচ করছে সবাই। সেই সময়েই মনে হয়েছিল, এই গানটার মধ্যে কিছু একটা ম্যাজিক আছে যাতে চুপ করে বসে থাকা যায় না। আর এখন সেই 'টাপা টিনি'-র তালে তো গোটা বাংলা নাচ করছে।'

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola