কলকাতা: 'হ্যালো..হ্য়ালো.. আমার কথা বোঝা যাচ্ছে? শোনা যাচ্ছে?..' তারপরেই স্বভাবজাত ঝরঝরিয়ে বলে চললেন তিনি। 'শুরু'-র গল্প। পাঁচ বছর পরে অভিনয় করতে পারা নিয়ে দ্বিধা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboproshad Mukherjee), নন্দিতা রায়ের (Nandita Roy) আদর... অনর্গল স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। যে ছবিকে ঘিরে জড়িয়ে এত স্মৃতি, সেই ছবি মুক্তির পরের দিনটাই তাঁর জন্মদিন। প্রযোজনা সংস্থা উইন্ডোজ-এর তরফ থেকে শেয়ার করে নেওয়া হয়েছে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের (Swatilekha Sengupta) একটি ভিডিও। ৪ মিনিটের সেই ভিডিও দেখতে দেখতে যেন ভুলেই যেতে হয়, যে মানুষটা ঠোঁটে হাসি মাখিয়ে কথা বলে চলেছেন অনর্গল, ছবি মুক্তির দিনটা দেখা হল না তাঁর। 


স্বাতীলেখা নেই এখনও যেন মেনে নিতে পারেন না তাঁর কাছের মানুষ, অনুরাগীরা। এই তো সদ্য মুক্তি পাওয়া সিনেমার পর্দায় দিব্যি চলে ফিরে বেড়াচ্ছেন তিনি। তাঁর শেষ ছবি 'বেলাশুরু' (Belashuru) মুক্তি পেয়েছে সদ্য। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নন্দিতা রায়ের পরিচালনায় এই ছবি ব্যবসার দৌড়ে ইতিমধ্যেই বেশ এগিয়ে। 


ভিডিওতে স্বাতীলেখা বলছেন, 'বেলাশুরু'-তে অভিনয় করা নিয়ে তাঁর মনে দ্বিধা ছিল। 'বেলাশেষে'-র পাঁচ বছর পরে আবার কোনও ছবিতে তিনি অভিনয় করবেন, ভাবতে পারেননি স্বাতীলেখা। পাঁচ বছরে শারীরিক সমস্যা বেড়েছে। কিন্তু শিবপ্রসাদ-নন্দিতাকে ফেরাতে পারেননি তিনি। শিবপ্রসাদ যেন তাঁর ছেলের মতোই হয়ে গিয়েছিলেন। কাঁধে মাথা রেখে পরম যত্নে চিত্রনাট্য বুঝিয়ে দিতেন তাঁকে। প্রত্যেকদিন শ্যুটিং ফ্লোরে তাঁকে আদরে যত্নে রাখতেন নন্দিতা। খেয়াল রাখতেন তাঁর সমস্ত সুবিধা অসুবিধার। স্বাতীলেখার মনে হয়েছিল, 'এই দুই পরিচালকে আমি হারাতে পারব না।'


আরও পড়ুন: Kartik Aaryan: কার্তিক আরিয়ানের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা সম্পর্কে কোনও ধারণা আছে?


সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন স্বাতীলেখা। তাঁর কথায়, 'সৌমিত্রদাকে আমার সবসময় খুব কাছের মানুষ, একজন আত্মীয়র মতোই মনে হয়েছে। কখনও মনে হয়নি উনি বড় অভিনেতা, ওনার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারব না।'


স্বাতীলেখা নেই, মানতে চায় না 'বেলাশুরু' পরিবার। আর তাই ভিডিওর শেষে ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসে স্বাতীলেখার কথা। সাদায় কালোয় ফুটে ওঠে লেখা 'স্বাতীদি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি। ভালো থেকো।'