নিউইয়র্ক: বায়োপিকে তাঁকে কোনওভাবেই ‘অতিমানব’ দেখানো যাবে না। ছবিতে শুধু তাঁর যাত্রাপথই তুলে ধরতে হবে। এ কথা গোড়াতেই পরিচালক নীরজ পাণ্ডেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বে মুক্তি পাবে ধোনির বায়োপিক ‘এমএস ধোনি-দ্য আনটোল্ড স্টোরি’। এই উপলক্ষ্যে সিনেমার প্রচারের জন্য স্ত্রী সাক্ষীকে নিয়ে ধোনি এসেছেন নিউইয়র্কে। সঙ্গে রয়েছেন প্রযোজক অরুণ পাণ্ডে। প্রোমোশনাল অনুষ্ঠানে ধোনি তাঁর ছোট্ট একটা শহরের এক প্রতিভাবান কিশোর থেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হয়ে ওঠার কাহিনী জানিয়েছেন।

ধোনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি পরিচালককে একটা কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, সিনেমায় আমাকে অতিমানব করে দেখানো যাবে না। এটা একটা পেশাদার খেলোয়াড়ের যাত্রার কাহিনী। সিনেমায় এটাই তুলে ধরতে হবে’।

ধোনি বর্তমানেই বেশি স্বচ্ছন্দ। তাঁর পক্ষে পিছন ফিরে তাকিয়ে জীবনের কাহিনী নীরজকে বলাটা খুবই কঠিন ছিল।

ধোনি তাঁর বায়োপিক ইতিমধ্যেই অসম্পাদিত আকারে দেখে ফেলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সিনেমাটি দেখতে গিয়ে ফেলে আসা দিনগুলি তাঁর মনে সতেজ হয়ে উঠেছিল। ছোটবেলার স্মৃতি মনে ভিড় করেছিল। সেই বাড়ি, স্কুল, খেলার মাঠ।

এ কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন কুল।

তিনি বলেছেন, কিছুক্ষণের জন্য এভাবে অতীতে ফিরে দেখাটা দারুন ব্যাপার। এতে অন্যরা একজনকে কীভাবে দেখছেন, তা বোঝা যায়। আমি কোনওদিনই আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলিনি।কিন্তু তাঁরা আমার ব্যাপারে কী ভাবেন, তা এক ঝলকে জানা গেল।

ধোনি জানিয়েছেন, সিনেমার প্রস্তাব আসার পর তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু যখন বোঝা গেল যে, এতে আমার জীবনের কাহিনী তুলে ধরা হবে, তখন আর কিছু মনে হয়নি।