মুম্বই: করোনা কালে চটজলদি আবিষ্কৃত টিকার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল গোড়া থেকেই। সেই আশঙ্কায় সিলমোহর পড়েছে সম্প্রতি। তাদের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে বলে মেনে নিয়েছে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা AstraZeneca. এবার কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেতা শ্রেয়স তলপাড়েও। কয়েক মাস আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন শ্রেয়স, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয় তাঁর। শ্রেয়সের দাবি, তাঁর অসুস্থতার জন্য কোভিড টিকাও দায়ী হতে পারে। (Shreyas Talpade)


৪৮ বছর বয়সি শ্রেয়স সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন। অসুস্থতা প্রসঙ্গে বলেন, "আমি ধূমপান করি না। নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাসও নেই, মাসে হয়ত একবার। কোনও তামাকদ্রব্য সেবন করি না। কোলেস্টেরল সামান্য বেশি ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা স্বাভাবিক বলেই জানানো হয়েছিল আমাকে। ওষুধও খাচ্ছিলাম সেই কারণে, যাতে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে এসেছিল। না ডায়বিটিস, না উচ্চ রক্তচাপ, কিছু না, তাহলে কারণটা কী?" (Shreyas Talpade on COVID Vaccine)


শ্রেয়স আরও বলেন, "কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার পর থেকেই শরীর ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে পড়তে শুরু করে আমার। তাই টিকা নিয়ে যে তত্ত্ব উঠে আসছে, পুরোটা খারিজ করে দেওয়া ঠিক নয় হয়ত। হয় কোভিড নয়ত বা তার টিকা, কিছুর একটা প্রভাব তো রয়েইছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয় যে, শরীরে কী গিয়েছে, তা জানিই না আমরা। স্রোতে গা ভাসিয়ে, ওই সব সংস্থাকে বিশ্বাস করে টিকা নিয়েছি। কোভিডের আগে এমন সব কথা শোনা যায়নি।" 


আরও পড়ুন: Shah Rukh Khan: 'আমার বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন', কেন বললেন শাহরুখ খান? ফের কবে পর্দায় দেখা যাবে?


শ্রেয়স জানিয়েছেন, গত বছর ডিসেম্বর মাসে মুম্বইয়ে শ্যুটিং করছিলেন তিনি। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। শেষ টেকটি দেওয়ার পর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। বাঁ দিকের হাতে অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হয়। নিজের ভ্যানিটি ভ্য়ান পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার শক্তি ছিল না তাঁর। অ্যাকশন সিকোয়েন্সের শ্যুটিং করেছেন, তাই প্রথমে পেশিতে টান ধরেছে ভেবেছিলেন তিনি। এত বড় বিপদ নেমে আসছে, কল্পনাও করেননি। 


শ্রেয়স হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর আসতেই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন সকলে। মায়ানগরীতে তাঁর কলাকুশলীরা ভিড় করেছিলেন হাসপাতালে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর শ্রেয়স জানিয়েছিলেন, জীবন তাঁকে দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছে। তিনি যে বেঁচে রয়েছেন, সেটাই আশ্চর্যের বলে জানান। শ্রেয়স জানিয়েছেন, আগে কখনও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি তাঁকে। কোনও দিন হাত-পা ভাঙেনি। এই অভিজ্ঞতা জীূন সম্পর্কে তাঁর ধারণা পাল্টে দিয়েছে।