মুম্বই: সুদীর্ঘ অভিনয় জীবনে বার বার নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। কিন্তু ছেলের ব্যক্তিগত জীবনের ওঠাপড়া কোথাও না কোথাও প্রভাবিত করেছে তাঁকে। ৭৭ বছর বয়সে 'অ্যানিম্যাল' ছবি ফের সাফল্য এনে দিয়েছে। সেই আবহেই জীবনের ওঠানামা, কেরিয়ার এবং ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেতা সুরেশ ওবেরয় (Suresh Oberoi)। ছেলে বিবেক ওবেরয়ের (Vivek Oberoi) ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও উত্তর দিতে পিছপা হলেন না। (Suresh Oberoi on Salman Khan)


এই মুহূর্তে বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে 'অ্যানিম্যাল'। তাতেই ফের চর্চায় সুরেশ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোনও রাখঢাক করেননি সুরেশ। জানিয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রির কারও সঙ্গেই তেমন সখ্য কোনও কালে ছিল না তাঁর। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অভিনয় করলেও, কখনও বন্ধু হয়ে ওঠেননি তাঁরা। দেখা হলে যদিও সৌজন্য দেখাতে পিছপা হন না কেউই।


একরকম অবধারিত ভাবেই ছেলে বিবেক এবং তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামার কথা এসে পড়ে আলোচনায়। সেই নিয়েও অকপট সুরেশ। তিনি জানিয়েছেন, অনেক কিছুই তাঁর অগোচরে ছিল। ছেলের ঐশ্বর্যার রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে, সেকথা জানা ছিল না তাঁর। পরিচালক রামগোপাল ভার্মা বিষয়টি জানান তাঁকে। চারপাশের আরও অনেকের থেকে খবর পান। সুরেশ জানিয়েছেন, তার পর ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। বুঝিয়েছিলেন কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। কিন্তু বিবেক বোঝেননি।


আরও পড়ুন: Vicky on Shah Rukh: শ্যুটিং শেষ না করেই চলে গিয়েছিলেন সেট ছেড়ে, শাহরুখের ব্যবহারে অবাক ভিকি


ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর পরই ঐশ্বর্যার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বিবেক। সলমন খানের সঙ্গে ঐশ্বর্যার সম্পর্কের টানাপোড়েনের খবর তখন তুঙ্গে। সেই আবহেই বিবেক এসে পড়েন তাঁদের মাঝে। সেই নিয়ে সলমন ফোন করে বিবেককে কথা শোনান এমনকি হুমকিও দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পর সাংবাদিক বৈঠক ডেকে, গোটা দেশের সামনে সলমনকে হুমকি দেন বিবেক। সলমনের সূর্য অস্তাচলে বলেও মন্তব্য করেন। 


এর পরই বিবেকের কেরিয়ারের পতন শুরু হয়। একের পর ছবি যেমন মুখ থুবড়ে পড়ে, পরিচালক-প্রযোজকরাও তাঁর সংসর্গ এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। ঐশ্বর্যার সঙ্গেও সম্পর্ক ভেঙে যায়। এমনকি তাঁর সঙ্গে ব্রেকআপ না করেই ঐশ্বর্যা, অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের ঘোষণা করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। বিবেকের জীবনের এই ঘটনাবলী প্রভাব ফেলে তাঁর বাবার উপরও।


কিন্তু এত কিছুর পরও সলমন এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক টাল খায়নি বলে দাবি করেছেন সুরেশ। তাঁর কথায়, "আজও দেখা হলে সৌজন্য বিনিময় হয়। সলমন তো আজও মুখোমুখি হলে অপ্রস্তুত হয়। হাতে সিগারেট থাকলে লুকিয়ে ফেলে। অত্যন্ত সম্মান প্রদর্শন করেই কথা বলে আমার সঙ্গে। সেলিমজির সঙ্গে দেখা হলে, আমিও বিবেককে পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে বলি। আমি ওঁকে আজও সেলিম ভাই বলে ডাকি।" বিবেককে জড়িয়ে অনেক কিছু ঘটলেও, খান পরিবারের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বোঝাপড়ায় কোনও প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করেছেন সুরেশ।