কলকাতা: এক পরিবারের দুই জা। তাঁদের যেমন হাঁড়ি আলাদা, তেমনই তাঁদের মধ্যে রয়েছে বিস্তর প্রতিন্ধন্দ্বিতা। কার বাড়ির বৌরা বেশি এগিয়ে এই নিয়ে একটা চাপা লড়াই চলতেই থাকে। ইতিমধ্যে বাড়িতে আসে নতুন বৌমা টিয়া। তাঁর বর পেশায় মেকানিক। শুরু হয় নতুন বৌয়ের চাকরি পাওয়ানোর লড়াই। 


'বৌমা একঘর'-এর গল্প


এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই ফের ছোটপর্দায় ফিরছেন 'অপরাজিতা অপু'-র সুস্মিতা (Sushmita Dey)। 'বৌমা একঘর' ধারাবাহিক নিয়ে আসছে সুস্মিতা দে। তাঁর বিপরীতে এই ধারাবাহিকে দেখা যাবে ‘ফেলনা’ খ্যাত দেবজ্যোতি রায়চৌধুরীকে (Debojyoti Roychowdhury)। ধারাবাহিকে বাড়ির বউ সুস্মিতা যাতে চাকরি করে সেইজন্য চেষ্টা করছে সবাই। বাস্তবে যখন অভিনয়কে বেছে নিয়েছিলেন সুস্মিতা আর দেবজ্যোতি, তখন পরিবারের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?


আরও পড়ুন: এই গরমেই আসছে অজয় দেবগনের সাইকোলজিকাল থ্রিলার 'নাম'


আজ, সাংবাদিক সম্মেলনে এবিপি লাইভের তরফ থেকে এই প্রশ্নই রাখা হয়েছিল 'বৌমা একঘর' ধারাবাহিকের নায়ক নায়িকার কাছে। সুস্মিতা বললেন, 'আমার বাড়ির সবাই প্রথম থেকেই সমর্থন করেছিল আমার অভিনয় বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে। ছোট থেকে যা করতে চেয়েছি, তাতেই আমায় সমর্থন করেছে পরিবার। আমি মফঃস্বলের মেয়ে। পরিবারের সমর্থন ছাড়া কলকাতায় এসে কাজ করা সম্ভবই হত না। আমার মনে আছে, প্রথমদিন পরিচালক সুশান্তদার সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম মায়ের সঙ্গে।'


তবে এই প্রশ্নের উত্তরটা একরকম হল না দেবজ্যোতির। বললেন, 'আমার অভিজ্ঞতা কিন্তু এক্কেবারে আলাদা। কলেজে পড়তে সিদ্ধান্ত নিই অভিনয়কে বেছে নেব। তখন কেউ পাত্তা দেয়নি বিষয়টাকে। কিন্তু তেমনটা হল না। আমি থিয়েটারে যোগ দিলাম। অভিনয় করতে থাকলাম। যখন বাড়ির লোকজন দেখল বিষয়টা খুব সিরিয়াস, বাবা বললেন, 'আমার টাকায় এসব করা চলবে না। আমি টিউশনের টাকায় নিজের খরচা চালাতে শুরু করলাম। সেই টাকাতেই বিভিন্ন জায়গায় অডিশনের ব্যবস্থা করতাম। কলকাতায় থাকতাম। কখনও কখনও মায়ের কাছে হাত পাততাম। তারপর যখন আমার প্রথম ধারাবাহিক এল বাড়িতে সবাই খুব খুশি হলেন। এখন যখন সবাই মা কে বলেন, তোমার ছেলে এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে, খুব খুশি হন মা।'