কলকাতা: প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাসভবনে মৃত্যু হল তাঁর। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। বয়সজনিত কারণে সমস্যা ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ডায়ালিসিস চলছিল তাঁর। আজ সকাল ছয়টা নাগাদ প্রয়াত হয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্রে এক সোনালী অধ্যায়ের অবসান হল। পরিবার সূত্রে খবর, গতকালও তাঁর ডায়ালিসিস হয়েছিল। আজ ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় এই বিশিষ্ট পরিচালকের। এদিন সকালে দেখা যায়, তাঁর সাড়া মিলছে না। এরপর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭।পরিবার সূত্রে খবর, আজই প্রয়াত পরিচালকের শেষকৃত্যু সম্পন্ন হবে।
'দূরত্ব', 'নিম অন্নপূর্ণা', 'গৃহযুদ্ধ', 'ফেরা', 'বাঘ বাহাদুর', 'উত্তরা' তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমা। 'তাহাদের কথা', 'চরাচর' তাঁর বহু প্রশংসিত সিনেমা।
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র জগতে। পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। শোকবার্তায় লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন অপর্ণা সেন। তিনি বলেছেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর সিনেমা ছিল কবিতার মতো।
১৯৪৪ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার আনারা গ্রামে জন্ম বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর। বাবা ছিলেন রেলের চিকিত্সক। তাই ছোটবেলা কেটেছে বিভিন্ন জায়গায়। অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা স্কটিশ চার্চ কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল। তবে উত্সাহ ছিল ফিল্ম সংক্রান্ত পড়াশোনাতেও। ১৯৬৮ সালে তথ্যচিত্র তৈরি করে পরিচালনায় হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর।
১৯৭৮-এ প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি দূরত্ব পরিচালনা করে জাতীয় পুরস্কারের শিরোপা পেয়েছিলেন তিনি। এরপর নিম অন্নপূর্ণা, গৃহযুদ্ধ, বাঘ বাহাদুর, তাহাদের কথা, চরাচর, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান-সহ একের পর এক উল্লেখযোগ্য ছবি। পুরস্কারের ঝুলিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি জাতীয় পুরস্কার। এছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালনায় বিদেশি পুরস্কারও পেয়েছেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত।