সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল কংগ্রেসের। দখল নিল তৃণমূল। কংগ্রেসের সাত এবং সিপিএমের এক সদস্য দলবদল করতেই, হাতবদল হল গোলামারা গ্রাম পঞ্চায়েতের।
বাম ও আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট বেঁধেও বিধানসভা ভোটে কোনও দাগ কাটতে পারেনি কংগ্রেস।এবার পুরুলিয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েতও হাতছাড়া হল হাত শিবিরের। পুরুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের গোলামারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত জন সদস্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। একই পথে হেঁটেছেন একজন সিপিএম সদস্যও। 
৮ জনের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন, মানবাজারের বিধায়ক তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সন্ধারানি টুডু।
গোলামারা পঞ্চায়েতের তৃণমূলে যোগদানকারী কংগ্রেস সদস্য শিবপ্রসাদ মাহাত বলেছেন, মমতা বন্দোপাধ্যা্য়ের উন্নয়ন কর্মসূচী ও তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতায় অনুপ্রানিত হয়েই তৃণমুলে যোগ দিলাম।
পুরুলিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পরপর তিনবার জিতে  হ্যাটট্রিক করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তৃণমূল সরকার গ্রামে যেভাবে উন্নয়ন করেছে, তাই দেখে তারা তৃণমূলে যোগদান করেছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা। 
গোলামারা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১২। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে, ৭টি আসনে জিতে পঞ্চায়েত দখলে রেখেছিল কংগ্রেস।৩টি আসন ছিল তৃণমূলের দখলে। ২টি আসনে জিতেছিল সিপিএম।দলবদলের জেরে পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। ৩ থেকে তাদের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ১১। 
উল্লেখ্য, ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের যেন হিড়িক পড়েছিল। তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটের পর উল্টো স্রোত। এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন দলের অনেক পুরানো নেতাই। দল এখনও তাঁদের ফেরানোর ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। কিন্তু এরইমধ্যে নিচুতলায় অন্য দলের কর্মীদের তৃণমূলে যোগদানের খবর নিয়মিত আসছে। কয়েকদিন আগেই কোচবিহারেরর দিনহাটার ভেটাগুড়ি ১ নং পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এসেছিল। দিনহাটায় একমাত্র এই পঞ্চায়েতটিই বিজেপির দখলে ছিল। এবার এর দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও সদস্যদের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।