Anasuya Sengupta: অনসূয়া সেনগুপ্ত- এই বঙ্গতনয়ার নাম এখন প্রায় সকলেই জানেন (Actress Anansuya Sengupta)। প্রথম ভারতীয় হিসেবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর (Best Actress Award) পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী (Cannes Film Festival)। সৌজন্যে তাঁর ছবি 'দ্য শেমলেস' (The Shameless)। ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব সম্প্রতি শেষ হয়েছে। কানের রেড কার্পেটে গিয়ে Un Certain Regard বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর খেতাব জিতে নেওয়ার সফর কেমন ছিল তা জানাতেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন অনসূয়া। আর সেখানেই আলোচনার মাধ্যমে উঠে এল যৌনকর্মীদের জীবন এবং সংগ্রাম সম্পর্কে অনসূয়ার ভাবনাচিন্তা। অনসূয়া জানিয়েছেন, যৌনকর্মীদের পেশা হল বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন পেশা। তাঁর ছবির (দ্য শেমলেস' সঙ্গে যুক্ত সকলে যৌনকর্মীদের জীবন এবং তাঁদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই ও জীবন সংগ্রামকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেখাতে চেয়েছিলেন। এভাবেই তৈরি হয়েছে বুলগেরিয়ান পরিচালক কনস্ট্যান্টিন বোজানোভের ছবি 'দ্য শেমলেস'। 


যেকোনও ভাল কাজ করার জন্য সেই বিষয়ে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। 'দ্য শেমলেস' ছবির ক্ষেত্রেও সেটাই করেছিলেন কলাকুশলীরা। অনসূয়া তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই সিনেমার জন্য প্রচুর গবেষণা করা হয়েছে। চলচ্চিত্রের বিষয় সম্পর্কে পড়াশোনা করে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছেন অভিনেতারা। যাঁদের নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তাঁরা সকলেই সত্যিকারের মানুষ। ওঁদের জন্য 'বেশ্যা' শব্দের পরিবর্তে 'যৌনকর্মী' শব্দবন্ধের ব্যবহার পছন্দ করেছেন অনসূয়া। অভিনেত্রীর কথায়, 'যৌনকর্মী হওয়া বিশ্বের প্রাচীনতম পেশা। সকলে এর থেকে সুবিধা পেয়ে থাকেন। শুধু যাঁরা এই পেশায় যুক্ত তাঁরা ছাড়া।' অনসূয়া আরও বলেছেন, সবকিছুর আগে যৌনকর্মীদের নিজেদের ভালভাবে জানা উচিত, চেনা উচিত, বোঝা উচিত। নিজেদের সম্মান দেওয়া উচিত। আর তাঁদের জীবনের সত্যি গল্পটা সকলের সামনে রাখঢাক না করেই তুলে ধরা প্রয়োজন। 


কানের রেড কার্পেট যে অনসূয়ার কাছে ভীষণ 'স্পেশ্যাল', সেকথাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন, 'এই অভিজ্ঞতা বিস্ময়ের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকার অনুভূতি একদম আলাদা। এই সিনেমায় আমরা এটা ভেবে কাজ করিনি যে ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাবে কিংবা এই সিনেমা অন্য কোনও পুরস্কার পাবে কানের মঞ্চের। আমরা শুধু সৎভাবে নিজেদের কাজটুকু করেছি। তারপরে প্রশংসা পেয়েছি। তাই সেটা আরও স্পেশ্যাল।' 


অনসূয়া জানিয়েছেন, বিগত ১২ বছর ধরে 'দ্য শেমলেস' নির্মাণের কাজ চলছে। পরিচালিক বুলগেরিয়ার বাসিন্দা। হিন্দি জানেন না। প্রচুর মানুষের সাহায্য নিয়ে তবেই তৈরি হয়েছে এই সিনেমা। কানের মঞ্চে অন্যান্য যেসকল ভারতীয় তাঁদের প্রতিভার নিদর্শন রেখেছেন তাঁদের সকলকেই অভিবাদন জানিয়েছেন অনসূয়া। অভিনেত্রীর কথায়, পায়েল কাপাডিয়া, সন্তোষ সিভান, চিদানন্দ এস নাই- সকলের সঙ্গে এক মঞ্চ ভাগ করে নেওয়ার অনুভূতি একদম আলাদা, অন্যরকম এবং অতি অবশ্যই গর্বের। সেই সঙ্গে অনসূয়া এও বলেছেন যে সমগ্র বিশ্ব যেন তাঁদের এই বৃহৎ দলের দিকে তাকিয়ে ছিল, যার সদস্যরা একে অন্যের সঙ্গে অটুট বন্ধনের আবদ্ধ, একে অন্যকে সমর্থন করে এবং ভাল শিল্পের নির্মাণ করে। 


তথ্যসূত্র- আইএএনএস 


আরও পড়ুন- ভোট দিয়ে বেরোতেই 'হুমকি' অনীক দত্তকে ! ৪ তারিখের পর পরিচালককে 'দেখে নেওয়ার' হুঁশিয়ারি 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।