Weight Loss Habits: ওজন কমানোর জন্য কেউ খাওয়া কমিয়ে দেন। কেউ আবার রোজ হাঁটাহাঁটি শুরু করেন ভোর ভোর। কেউ বেছে নেন জিম তো কেউ আবার যোগ ব্যায়াম কেন্দ্রে যেতে শুরু করেন। কিন্তু ওজন কমানো মানে কিছু নিয়ন্ত্রণও। শুধু খাওয়া কমিয়ে বা শরীরচর্চা করে ওজন কমানো সম্ভব হয় না। বরং কিছু অভ্যাসেও বদল আনা প্রয়োজন। এই অভ্যাসগুলি না বদলালে বেশ কিছু দিন পরিশ্রম করার পরও ওজন কমবে না।


ওজন কমাতে অভ্যাসে চাই বদল


১. নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া - ডায়েটে শুধু বদল আনলেই হবে না। নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। দুপুর বা রাতের খাওয়া আজ এই সময় কাল ওই সময় খেলাম, এমনটা করলে চলবে না। এতে ওজন কমানো মুশকিল।


২. পর্যাপ্ত ঘুম - ঘুমের অভাবেই অনেকের পরোক্ষভাবে ওজন বাড়ে। তাই ডায়েট, জিমের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ঘুম ঠিকমতো না হলে শরীর খারাপ তো হবেই, ওজনও থাকবে একই জায়গায়।


৩. স্ট্রেস ম্যানেজ করতে হবে - স্ট্রেস ম্যানেজ করা ভীষণভাবে জরুরি। কারণ স্ট্রেস কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। মেটাবলিজমের উপর প্রভাব ফেলে স্ট্রেস। ফলে ওজন বাড়ে। তাই স্ট্রেস ম্যানেজ করা দরকার।


৪. ব্যায়াম বুঝে খাওয়াদাওয়া - কেউ জিম বা ব্যায়াম করে ওজন কমান। কেউ আবার খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দিয়ে ওজন ঝরান। কিন্তু ব্যায়াম করে ওজন ঝরালে কিছু বেশি ক্যালোরি খেতেই হবে। নয়তো দুর্বল লাগবে শরীর।


৫. ক্যালোরি বাদ নয় - ক্যালোরি ঝরাতে হবে। তাই বলে রোজকার খাবার থেকে ক্যালোরি বেশি এমন খাবার একেবারে বাদ দিয়ে দেওয়া যায় না। অনেকে ভাত বা রুটি খাওয়া একদম ছেড়ে দেন। এই প্রবণতা মারাত্মক। কারণ ভারতের মতো দেশে সস্তায় শক্তির জোগান দেয় এই দুটি খাবারই।


৬. হাইড্রেটেড থাকা - জিম বা ব্যায়াম শুরু করলে ডিহাইড্রেশনের হার অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই এই সময় হাইড্রেটেড থাকা বিশেষ করে জরুরি। জল খাওয়ার অভ্যাস এই সময় নিয়ম করে নিতে হবে।


৭. সময় মেনে চলা - ব্যায়াম ও ডায়েট মানেই রোজকার জীবনযাপনে একটি বড়সড় বদল। তাই সময় মেনে রুটিন করে সব কাজ করতে হবে। ওজন কমানোর সময় অনিয়ম না করাই ভাল।


ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Hair Fall Issues: চুলের সমস্যা জানান দেয় এই বড় রোগগুলির, আপনিও ভুগছেন না তো?


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।