কলকাতা: মায়ের জন্য একটা দিন যথেষ্ট নয়, ঠিকই। কিন্তু কোনও একটা বিশেষ দিন যদি তাঁদের আলাদা করে উদযাপন করা যায় তাতেই বা ক্ষতি কী! আজ, ১৪ মে, চলতি বছরের 'মাতৃ দিবস' (Mother's Day)। সোশ্যাল মিডিয়া ভরেছে সকলের পোস্ট ও শুভেচ্ছাবার্তায় (wishes and posts)। বাদ পড়েননি তারকারাও। বাংলাদেশের ও বাংলা সিনে দুনিয়ার জনপ্রিয় তারকা চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury)। মায়ের সঙ্গে আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করলেন। 


চঞ্চল চৌধুরীর 'মাতৃ দিবস' উদযাপন


সোশ্যাল মিডিয়ায় এদিন মায়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। মাকে জড়িয়ে ছেলে। আর ছেলের চওড়া কাঁধে নিশ্চিন্ত মায়ের মুখে চওড়া হাসি। কেবল মন কেমন করতে পারে অভিনেতার ক্যাপশন পড়লে। 


অভিনেতা এই ছবি পোস্ট করে লেখেন, 'সময়ের পার্থক্য এটুকুই... গত বছর এই দিনে মায়ের কপালে লাল টকটকে সিঁদুর ছিল। বাবার চলে যাওয়ায় সবচেয়ে একা হয়ে গেছে আমাদের মা।' সত্যিই তো। যাঁর হাত ধরে জীবনের এতগুলো বছর পার করেছেন, তাঁর চলে যাওয়ায় একা হওয়াই স্বাভাবিক! কিন্তু তা সত্ত্বেও মায়ের মুখে সবসময় চওড়া হাসি, লিখলেন চঞ্চল। তাঁর কথায়, 'তারপরেও মায়ের মুখের এই হাসিটুকু বেঁচে থাক আমৃত্যু... পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা। ভাল থাকুন সকল মা।' 


 



প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরে প্রয়াত হন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর বাবা। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থও ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্টে অভিনেতা লেখেন, '২৭ ডিসেম্বর রাতে বাবা আমাদের সকলের মায়া মমতা ত্যাগ করে, ইহলোক ত্যাগ করে চলে গেল পরলোকে। গতকাল নিজগ্রাম কামারহাটের পদ্মাপাড়েই তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাবা মিশে গেল এই গ্রামেরই আলো বাতাসে, পদ্মার জলে। সন্ধ্যায় ধর্মীয় আচার শেষে যখন নদীর পাড় থেকে বাড়ি ফিরলাম, তখন ভুলেই গিয়েছিলাম যে, বাবাকে তো নদীর পাড়েই রেখে এসেছি। সারা রাত দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সারা বাড়িময়, ঘরময় যেন বাবা গুটি গুটি পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে।...'


আরও পড়ুন: Health Tips: খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখেন? কোন কোন খাবারে এমন করতেই হবে?


অন্যদিকে আট ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন চঞ্চল। ছোট থেকে উপলদ্ধি করেছেন মাকে, মায়ের জীবনযুদ্ধকে। চিরকাল তাঁকে ছুঁয়ে গিয়েছে মায়ের নিজের সবকিছু ত্যাগ করে সন্তানকে বড় করে তোলার প্রচেষ্টা। মাতৃ দিবস উপলক্ষ্যে এবিপি লাইভকে অভিনেতা বলেন, 'আমাদের মায়েদের প্রজন্মের একমাত্র লক্ষ্যই বোধহয় ছিল সন্তানদের ভালভাবে বড় করে তোলা। আর তার জন্য নিজের সবকিছু ত্যাগ করে দিতে, নিজের শখ-সাধ সব বিসর্জন দিতে দু'বার ভাবতেন না। আর হ্যাঁ.. এই সবটাই ছিল ভীষণ একতরফা। কখনও চাওয়া পাওয়ার হিসেব করতেন না মা। আমাদের প্রজন্ম হয়তো অজান্তেই কিছু প্রত্যাশা করে ফেলি। মা কখনও বোধহয় এই হিসেবটা করে উঠতেই পারেননি।'