কলকাতা: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ফিকে হয়ে আসে অনেক স্মৃতি। কিছু ভাললাগার, কিছু মনখারাপের। তবে যে স্মৃতি ফিকে হয় না? ভোলা যায় না? সেই স্মৃতি দীর্ঘ এত বছর পরেও অবতারণা করায় দীর্ঘ লেখার। দীর্ঘ স্মৃতিচারণার। ছত্রে ছত্রে কষ্ট হলেও, যে দুঃসহ স্মৃতির কথা লিখতে ইচ্ছা করে? বলতে ইচ্ছা করে? এই অনুভূতি হয়তো লিখে বোঝানো যায় না। তবুও লিখলেন তিনি.. চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় (Churni Ganguly)। অন্যদিকে, তিনি নাট্যকার, তিনি অভিনেতা... তাঁর দরাজ গলার গানে মুগ্ধ সকলেই। কিন্তু শিল্পীর এই গুণ সম্পর্কে জানতেন না অনেকেই। যে শিল্পী নাটকের মঞ্চে, ক্যামেরার সামনে সাবলীল, তিনি ততটাই সাবলীল খাতা পেন্সিলেও! দুর্দান্ত স্কেচে ফুটিয়ে তুলতে পারেন যে কারও মুখ! বাংলাদেশের থেকে তাঁর খ্যাতি এখন ছড়িয়ে পড়েছে টলিউডেও। তবে পরিচিত এই শিল্পীর অপরিচিত এক গুণের কথাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তী (Lagnajita Chakraborty)। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ চর্চায় রইল, নজর কাড়ল কোন কোন পোস্ট? দেখে নিন আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার সেরা পোস্টগুলি


১২ বছর বয়সে যৌন হেনস্থার স্বীকার, 'ক্ষমা চাইতে আসবে' এখনও অপেক্ষায় চূর্ণী


বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ফিকে হয়ে আসে অনেক স্মৃতি। কিছু ভাললাগার, কিছু মনখারাপের। তবে যে স্মৃতি ফিকে হয় না? ভোলা যায় না? সেই স্মৃতি দীর্ঘ এত বছর পরেও অবতারণা করায় দীর্ঘ লেখার। দীর্ঘ স্মৃতিচারণার। ছত্রে ছত্রে কষ্ট হলেও, যে দুঃসহ স্মৃতির কথা লিখতে ইচ্ছা করে? বলতে ইচ্ছা করে? এই অনুভূতি হয়তো লিখে বোঝানো যায় না। তবুও লিখলেন তিনি.. চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় (Churni Ganguly)। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ সকালে একটি লম্বা পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী-পরিচালক চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। ছোটবেলার একটি সাদা-কালো ছবি শেয়ার করে চূর্ণী লিখছেন, 'আমার এই ইনস্টাগ্রাম পোস্টটা ভীষণ ব্যক্তিগত। ৬ বছর আগে আমি একবার 'মিটু' -র বিষয়ে সরব হয়েছিলাম। হ্যাঁ, তখন খুব ছোট ছিলাম আমি, কিন্তু কিচ্ছু ভুলে যাইনি। একটা জমে থাকা কান্না, ছোটবেলার যৌন নিগ্রহের একটা দমবন্ধ করা স্মৃতি। এমন একটা মানুষ যে নিগ্রহের স্বীকার হয়েও বছরের পর বছর চুপ থেকেছে, কিছু বলেনি... কারণ সে বলার মতো পরিস্থিতিই তো পায়নি। আমি এখনই এই বিশ্বাস নিয়েই বেঁচে আছি যে ভাগ্য, ঈশ্বর একদিন ঠিক এর শাস্তি দেবেন। আমি এখনও অপেক্ষা করছি, সেই মানুষটা এসে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে। এখন এইটুকুই সেই মানুষটা করতে পারে। ছোটবেলা থেকে যে ট্রমা নিয়ে আমি বড় হয়েছি, তার জন্য ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর সত্যিই কিছু করার নেই। হয়তো সেই মানুষটা ভেবেছে, আমি তার নাম বলতে পারব না। সেই সাহসেই সে ১২ বছরের একটা মেয়েকে হেনস্থা করার সাহস দেখিয়েছিল। আমার দিশেহারা লাগছিল, গোটা পৃথিবীকে জানাতে ইচ্ছা করছিল, কিন্তু হদিশ পাইনি। আমার এখনও মনে আছে, আমার সঙ্গে ঠিক কী হচ্ছে আমি বুঝতে পারিনি। ছুটে ঘর থেকে পালিয়ে এসেছিলাম। গলা শুকিয়ে এসেছিল আমার, কিন্তু আমার মতো ছোট মেয়ের কথা কেউ বিশ্বাস করেনি। আমার পাশে ছিল না কেউ। গতকাল দামিনী বেণী বসুর একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করার কথা ছিল। বিষয়টা ছিল থিয়েটারকে নারীদের জন্য সুস্থ একটা জায়গা বানানো হোক, সেটা নিয়ে। দেরি হওয়ার জন্য সমর্থন জানাতে পারিনি। এই পোস্টটা আমার সমর্থন হয়ে থাক। শুধু থিয়েটার নয়, আমি বলতে চাই গোটা সমাজটাই নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। এই ঘটনার কথা যত শেয়ার করব, ততই যেন আমার ক্ষততে প্রলেপ পড়বে। এটা আমার ক্ষতয় প্রলেপ পড়ার প্রথম ধাপ। আমি এখনও অপেক্ষা করব ক্ষমা চাওয়ার তবে যা গতিবিধি সেই মানুষের, আমার ধারণা তার যৌন বিকৃতি বিন্দুমাত্রও বদলায়নি। আশা করি আমার এই পোস্টটা সেই লোকটার কাছে পৌঁছবে আর এই বার্তা দেবে, ১২ বছর হলেও আমি এখনও কিছু ভুলিনি।'


 






নিখুঁত টানে লগ্নজিতার এই স্কেচ আঁকলেন এক অভিনেতা! মুগ্ধ সঙ্গীতশিল্পী


 তিনি নাট্যকার, তিনি অভিনেতা... তাঁর দরাজ গলার গানে মুগ্ধ সকলেই। কিন্তু শিল্পীর এই গুণ সম্পর্কে জানতেন না অনেকেই। যে শিল্পী নাটকের মঞ্চে, ক্যামেরার সামনে সাবলীল, তিনি ততটাই সাবলীল খাতা পেন্সিলেও! দুর্দান্ত স্কেচে ফুটিয়ে তুলতে পারেন যে কারও মুখ! বাংলাদেশের থেকে তাঁর খ্যাতি এখন ছড়িয়ে পড়েছে টলিউডেও। তবে পরিচিত এই শিল্পীর অপরিচিত এক গুণের কথাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তী (Lagnajita Chakraborty)। কে এই শিল্পী? তিনি চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury)। 'কারাগার', 'হাওয়া' বা 'মনোগামী'-র হাত ধরে যিনি জয় করে নিয়েছেন হাজার হাজার দর্শকদের মন, তিনি সমান সাবলীল পেন্সিলের টানেও। লগ্নজিতা ও চঞ্চলের পূর্বপরিচিতি রয়েছে, সেই কারণেই তিনি একটি স্কেচ এঁকেছিলেন লগ্নজিতার। সেটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা লিখেছেন লগ্নজিতা। সঙ্গীতশিল্পী লিখেছেন, 'আমাদের যারা অনুরাগী, আমাদের কাজ যারা পছন্দ করেন তাঁরা অনেকসময় হাতে এঁকে ছবি উপহার দেন। আমরা যখন মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে যাই, এরকম হাতে আঁকা স্কেচ, আমাদের অনুরাগীদের থেকে আমরা অনেক পাই। বস্তুতপক্ষে আমার বাড়ির একটা ঘরের দেওয়াল এরকম অনুষ্ঠানে পাওয়া স্কেচ দিয়েই সাজানো। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যশালী যে এটা আমাদের সঙ্গে ঘটে। কিন্তু আমি যার কাজ পছন্দ করি, আমি যার অনুরাগী, তিনি আমার জন্য একটা স্কেচ এঁকে দিচ্ছেন, সেই সুযোগ কতই হয়? সচরাচর হয় না। কিন্তু আমি এতটাই ভাগ্যবতী যে, আমার সঙ্গে সেটা হয়েছে। যার কাজে সবাই মুগ্ধ, দুই বাংলা, সারা পৃথিবী, এবং আমি যার গুণমুগ্ধ ভক্ত; যিনি এখনকার সিনেমাজগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র, যার কাজের অনুরাগী আমি, তিনি আমার জন্য এই স্কেচটি এঁকে দিয়েছেন। তাঁর নামটা বললে সকলেই হয়ত খুব অবাক হবেন, কিন্তু এই নাম না বললে হয় না। তিনি সবার ভালোবাসার চঞ্চল চৌধুরী। উনি নিজে হাতে আমার এই স্কেচটা করেছেন। জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি, আবার অনেক কিছু পাইনি। কিন্তু যা পেয়েছি, তার মধ্যে এই পাওয়া অন্যতম হয়ে থাকবে।' (অপরিবর্তিত) নিখুঁত হাতে আঁকা এই ছবি দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। নাট্যব্যক্তিত্ব, দুঁদে অভিনেতার এই গুণটির কথা জানালেন লগ্নজিতাই।


 






আরও পড়ুন: Top Entertainment News: বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন ইলিয়ানা, ভাগ্নির বিয়েতে হাজির গোবিন্দা, আজকের বিনোদনের সারাদিন