মুম্বই: এনসিবির পর এবার মাদককাণ্ডের তদন্তে নামল মুম্বই পুলিশও। যে বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে শাহরুখ খানের ছেলে-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়, সেখানে পার্টি করার কোনও অনুমতি ছিল না বলে দাবি মুম্বই পুলিশের। এদিকে, মাদককাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।
মাদককাণ্ডে এনসিবির হেফাজতে শাহরুখ খানের ছেলে। এনসিবির পর এবার এই ঘটনার তদন্তে নামল মুম্বই পুলিশও। রবিবার যে ক্রুজ পার্টি থেকে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান-সহ বাকিদের আটক করা হয়, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। তাদের দাবি, বিলাসবহুল ওই ক্রুজে পার্টি করার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে, সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং মুম্বই পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।
মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন কার্যকর রয়েছে। অনুমতি ছাড়া পার্টির করে সেই আইনের ১৮৮ নম্বর ধারা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। সে বিষয়টা নিয়েই তদন্ত করবে মুম্বই পুলিশ। আরিয়ান খানকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতে পাঠিয়েছে মুম্বইয়ের আদালত। এনসিবি সূত্রে দাবি, মাদককাণ্ডের তদন্তে তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
এদিকে, এই ইস্যুতে আরিয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছেন হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, 'আমার মনে হয়, এটা শুধু আরিয়ানের বিষয় নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আরিয়ান ভুল সময়, ভুল জায়গায় ছিল। বলিউডের লোকদের ক্ষেত্রে যে ‘উইচ হান্টিং’ চলছে, এটা তার একটা উদাহরণ'। আরিয়ানের পাশে দাড়িয়েছিন সঙ্গীত শিল্পী মিকা সিংও। ক্রুজের ছবি দিয়ে তিনি ট্যুইটারে লেখেন, 'এত বড় ক্রুজে কি শুধুই আরিয়ান ছিলেন?'
মাদককাণ্ডের তদন্তে, মঙ্গলবার আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে, মাদককাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করল এনসিবি। মাদককাণ্ডে আরও কয়েকজন তাদের নজরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন, এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। এনসিবি সূত্রে দাবি, অভিযুক্তরা হোয়াটসঅ্যাপে মাদক সংক্রান্ত বার্তা আদানপ্রদান করতেন। দাম দেওয়া হত বিট কয়েনের মাধ্যমে।