'ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা লকডাউনের সময় কাজে লাগছে': মনীষা কৈরালা
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
14 Apr 2020 04:46 PM (IST)
করোনা আবহে মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে বন্দি হয়ে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি ভাগ করে নিলেন তাঁর লকডাউনের রোজনামচা। বললেন বিভিন্ন মানসিক পরিবর্তনের কথাও।
NEXT
PREV
'ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিচ্ছে লকডাউন': মনীষা কৈরালা
মুম্বই: কোভিড ১৯ -এর সঙ্গে লড়ছে গোটা দুনিয়া, পিছিয়ে নেই ভারতও। ঘরবন্দি রয়েছেন তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে বন্দি হয়ে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি ভাগ করে নিলেন তাঁর লকডাউনের রোজনামচা। বললেন বিভিন্ন মানসিক পরিবর্তনের কথাও।
সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে মনীষার ছবি 'মসকা'। আপাতত করোনা আবহে নিয়ম মেনে ঘরবন্দি রয়েছেন তিনি। জানালেন, রোজ নিয়ম করে সিনেমা দেখছেন। শেষ করে ফেলেছেন 'দ্য ক্রাউন', 'সেক্রেট গেমস'-এর মতো বিভিন্ন নামী ওয়েব সিরিজ। সম্প্রতি 'বদলা' ছবিতে তাপসী পান্নুর অভিনয় মুগ্ধ করেছে নায়িকাকে। কেবল সিনেমা নয়, বাগান করার শখ রয়েছে মনীষার। নিজের ছাদের ছোট্ট বাগানেই দিনের বেশীরভাগ সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন তিনি। বললেন, 'লকডাউনের ফলে দূষণ কমে গেছে। মুম্বইতে অনেক চড়াই পাখি দেখা যাচ্ছে। সেদিনই আমি দেখলাম আমার বাগানে দুটো চড়াই বাসা বাঁধছে। আমি বাড়িতে থাকলে হামেশাই বাগানে শুয়ে আকাশ দেখে সময় কাটাই।'
মার্চের প্রথমদিক অবধিও কাজ করেছেন মনীষা। তাই করোনা ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়েছিলেন। বাড়িতে বয়স্ক মানুষ রয়েছেন বলে চিকিৎসকদের পরামর্শও নিয়েছিলেন। বলেন, 'আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। কারণ এটা কেবল আমার শরীরের বিষয় নয়, আমার আশেপাশের মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই মারণ ভাইরাস। আমার চিকিৎসক বন্ধুরা আমায় বলেন অযথা আতঙ্কিত না হতে।'
একটা সময় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন মনীষা। সেময় দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকতে হয়েছিল তাঁকে। লকডাউন নাকি সেই সময়ের কথাই ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে, জানান মনীষা। বলেন, 'তখন পরিস্থিতি আরও কঠিন ছিল। আমি জানতাম না ওষুধ কাজ করবে কিনা। প্রায় ৬ মাস অর্থাৎ এর চেয়ে অনেক বেশী সময়ে আমায় চিকিৎসাধীন ও বন্দি থাকতে হয়েছিল। তারপর ৩ বছর ধরে অনেক বিধিনিষেধ পালন করতে হয়েছিল। আমি কেবল আজকের দিনটাই দেখি, আগামীকালটা নয়।' ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের সেই অভিজ্ঞতাই লকডাউনের কঠিন সময় কাটাতে মানসিকভাবে সাহস যোগাচ্ছে, উপলব্ধি মনীষার।
বাড়িতে নিয়মিত যোগাসন ও শরীরচর্চা করে শরীর ও মনকে তাজা রাখছেন মনীষা। শ্যুটিং না থাকলে বাড়ির বাইরে তেমন যান না তিনি। তাই লকডাউন তাঁর রোজনামচায় তেমন প্রভাব ফেলছে না বলেই জানান মনীষা। অবসরে ছবিও আঁকছেন নায়িকা। আর পরিবারের সঙ্গে নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছেন। নেলসন ম্যান্ডেলার উদাহরণ দিয়ে মণীষার বার্তা, 'বহু বছর কেবল একটা ঘরের মধ্যে বন্দি থেকেছেন ম্যান্ডেলা। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে সেই ক্ষমতা রয়েছে। ভয় বা বিরক্তি আসলেও এখন বাড়ির ভিতরে থাকা প্রত্যেকের পক্ষে ভীষণ জরুরী।'
'ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিচ্ছে লকডাউন': মনীষা কৈরালা
মুম্বই: কোভিড ১৯ -এর সঙ্গে লড়ছে গোটা দুনিয়া, পিছিয়ে নেই ভারতও। ঘরবন্দি রয়েছেন তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে বন্দি হয়ে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি ভাগ করে নিলেন তাঁর লকডাউনের রোজনামচা। বললেন বিভিন্ন মানসিক পরিবর্তনের কথাও।
সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে মনীষার ছবি 'মসকা'। আপাতত করোনা আবহে নিয়ম মেনে ঘরবন্দি রয়েছেন তিনি। জানালেন, রোজ নিয়ম করে সিনেমা দেখছেন। শেষ করে ফেলেছেন 'দ্য ক্রাউন', 'সেক্রেট গেমস'-এর মতো বিভিন্ন নামী ওয়েব সিরিজ। সম্প্রতি 'বদলা' ছবিতে তাপসী পান্নুর অভিনয় মুগ্ধ করেছে নায়িকাকে। কেবল সিনেমা নয়, বাগান করার শখ রয়েছে মনীষার। নিজের ছাদের ছোট্ট বাগানেই দিনের বেশীরভাগ সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন তিনি। বললেন, 'লকডাউনের ফলে দূষণ কমে গেছে। মুম্বইতে অনেক চড়াই পাখি দেখা যাচ্ছে। সেদিনই আমি দেখলাম আমার বাগানে দুটো চড়াই বাসা বাঁধছে। আমি বাড়িতে থাকলে হামেশাই বাগানে শুয়ে আকাশ দেখে সময় কাটাই।'
মার্চের প্রথমদিক অবধিও কাজ করেছেন মনীষা। তাই করোনা ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়েছিলেন। বাড়িতে বয়স্ক মানুষ রয়েছেন বলে চিকিৎসকদের পরামর্শও নিয়েছিলেন। বলেন, 'আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। কারণ এটা কেবল আমার শরীরের বিষয় নয়, আমার আশেপাশের মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই মারণ ভাইরাস। আমার চিকিৎসক বন্ধুরা আমায় বলেন অযথা আতঙ্কিত না হতে।'
একটা সময় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন মনীষা। সেময় দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকতে হয়েছিল তাঁকে। লকডাউন নাকি সেই সময়ের কথাই ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে, জানান মনীষা। বলেন, 'তখন পরিস্থিতি আরও কঠিন ছিল। আমি জানতাম না ওষুধ কাজ করবে কিনা। প্রায় ৬ মাস অর্থাৎ এর চেয়ে অনেক বেশী সময়ে আমায় চিকিৎসাধীন ও বন্দি থাকতে হয়েছিল। তারপর ৩ বছর ধরে অনেক বিধিনিষেধ পালন করতে হয়েছিল। আমি কেবল আজকের দিনটাই দেখি, আগামীকালটা নয়।' ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের সেই অভিজ্ঞতাই লকডাউনের কঠিন সময় কাটাতে মানসিকভাবে সাহস যোগাচ্ছে, উপলব্ধি মনীষার।
বাড়িতে নিয়মিত যোগাসন ও শরীরচর্চা করে শরীর ও মনকে তাজা রাখছেন মনীষা। শ্যুটিং না থাকলে বাড়ির বাইরে তেমন যান না তিনি। তাই লকডাউন তাঁর রোজনামচায় তেমন প্রভাব ফেলছে না বলেই জানান মনীষা। অবসরে ছবিও আঁকছেন নায়িকা। আর পরিবারের সঙ্গে নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছেন। নেলসন ম্যান্ডেলার উদাহরণ দিয়ে মণীষার বার্তা, 'বহু বছর কেবল একটা ঘরের মধ্যে বন্দি থেকেছেন ম্যান্ডেলা। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে সেই ক্ষমতা রয়েছে। ভয় বা বিরক্তি আসলেও এখন বাড়ির ভিতরে থাকা প্রত্যেকের পক্ষে ভীষণ জরুরী।'
বিনোদন (entertainment) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -