কলকাতা: ২০০৭ সালে শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোণ (Deepika Padukone)। প্রথম ছবিতেই শান্তিপ্রিয়ার চরিত্রে দীপিকার অভিনয় সাড়া ফেলে দিয়েছিল সারা ভারত জুড়ে। ১৬ বছর পেরিয়ে জওয়ানের ঐশ্বর্য রাঠোরের চরিত্রেটি প্রমাণ করে দিয়েছে দীপিকার অভিনয়ের ঔজ্বল্য আরও বেড়েছে। দীপিকা পাড়ুকোণ এখন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম নাম।
সূত্র বলছে, ২০২৩-এ দাঁড়িয়ে দীপিকা পাড়ুকোণের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। সম্পত্তির নিরিখে ভারতের মহিলা তারকাদের মধ্যে দীপিকা রয়েছেন প্রথম স্থানে। ২০২০ সালে দীপিকার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩০০ কোটি টাকা। ৩ বছরে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
২০১৬ সাল থেকে ভারতের সর্বোচ্চ আয়করদাতাদের তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন দীপিকা। এই তালিকায় তিনিই একমাত্র মহিলা। ২০১৬-য় তিনি ১০ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন...
'কুছ কুছ হোতা হ্য়ায়' মুক্তির পঁচিশ বছর, কয়েক মিনিটেই বিকোল সব টিকিট
এখনও তিনি ভারতের মহিলা তারকাদের মধ্যে সর্বোচ্চ আয়করদাতা। ফোর্বস ম্যাগাজিন সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে দীপিকা পাড়ুকোণের আয় ছিল ৪৮ কোটি টাকা। সেই বছর তিনি রজনীকান্ত, অজয় দেবগন, ক্রিকেটার রোহিত শর্মার মত তারকাদের ছাপিয়ে ভারতের ধনীতম সেরা দশ তারকা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন।
দীপিকা নিজের সাফল্যের রহস্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, 'আমি একজন অ্যাথলিটের মত ভাবনাচিন্তা করি। আমি খেলাধুলোর পরিবেশে বড় হয়েছি। তাই সুশৃঙ্খলভাবেই আমি জীবনযাপন করতে ভালবাসি।'
অভিনয় সূত্রে আয়ই থেকেই শুধু নয়। বিভিন্ন জায়গায় অর্থলগ্নী করেও নিজের সম্পত্তির পরিমাণ বাড়িয়েছেন দীপিকা পাদুকোণ।
বলিউড সূত্রে খবর, দীপিকা সিনেমা পিছু প্রায় ১২ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন। অন্যান্য নায়িকাদের মধ্যে খুব কমজনই সিনেমা পিছু ১০ কোটি টাকার বেশি পারিশ্রমিক চান।
দীপিকা বহু সংস্থার ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবেও মোটা অঙ্কের রোজগার করেন। ভারতীয় সংস্থাগুলির মধ্যে এশিয়ান পেইন্টস, জিও,ডাবর, তনিষ্ক এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর দীপিকা পাদুকোণ। তিনি শঁপা এবং লিভাইস-এর মত অ্যান্তর্জাতিক সংস্থারও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। ২০২২-এ দীপিকা পৃথিবী বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড লুই ভিঁতো,কাতার এয়ারওয়েস, কার্টিয়ে জুয়েলারির আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। কোনও পণ্যের বিজ্ঞাপন বাবদ দীপিকা ৭ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন।
সূত্রের খবর, দীপিকা তাঁর সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলে কোনও পোস্টের জন্য পারিশ্রমিক নেন না। কোনও সিনেমায় অতিথি চরিত্রে অভিনয়ের জন্যও পারিশ্রমিক নেন না দীপিকা।
দীপিকার সম্মানের ঝুলিতে অন্যতম প্রাপ্তি ২০২২-এর ডিসেম্বরে দোহায় ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপে ট্রফির আবরণ উন্মোচন। দীপিকাই প্রথম ভারতীয় যিনি এই সম্মান পেয়েছেন।
বিভিন্ন সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার পাশাপাশি দীপিকা নিজের ব্র্যান্ড নিয়েও অত্যন্ত সচেতন। দীপিকা তাঁর বোন আনিশা পাদুকোণের সঙ্গে কে এ প্রোডাকশনস নামে একটি প্রযোজনা সংস্থাও খুুলেছেন। ২০২০ সালে মেঘনা গুলজারের ছবি ছপাক-এ দীপিকা সহ-প্রযোজক ছিলেন। ২০২১-এ দীপিকা কবীর খানের ছবি এইট্টিথ্রি-ও সহ-প্রযোজনা করেছিলেন।
দীপিকার সংস্থা কেএ এন্টারপ্রাইজেস-এ তাঁর সঙ্গে কো-ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তাঁর বাবা প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় প্রকাশ পাদুকোণ। এই সংস্থার মাধ্যমে বেশ কিছু ভারতীয় স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছেন
দীপিকা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন