তবে সেন্সর বোর্ড থেকে কিন্তু সব ধরনের ছাড়পত্র পেয়ে গেছে এই ছবি এবং আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে চারটি দৃশ্য ছেঁটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ছবির প্রযোজকরা। তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে ‘জলি এলএলবি-২’ কে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালত রায় দেয়, কোনও অবস্থাতেই এই ছবির মুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না।
অক্ষয় কুমারের আসন্ন এই ছবি নিয়ে বিতর্কের শুরু ছবির নামকে কেন্দ্র করে। আইনজীবী অজয় কুমার এস ওয়াঘমারের দাবি ছিল, ছবি থেকে ‘এলএলবি’ শব্দটা ফেলে দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে এই পেশাকে অসম্মান করার জন্যে ছবির এমন নামকরণ করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, ছবির ট্রেলরে দেখা গেছে আদালত চত্বরের মধ্যে লোকে তাস খেলছে, নাচ করছে। এর থেকেই বোঝা যায় এই পেশা সম্পর্কে কোনও শ্রদ্ধা নেই ছবি নির্মাতাদের মনে। গত ২৪ জানুয়ারি বম্বে হাইকোর্টে এই মামলার প্রথম শুনানি হয়। তারপর ছবি নির্মাতারা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। শীর্ষ আদালত এই ছবি মুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞার আর্জি খারিজ করে দেয়।
ছবিতে আইনজীবীর ভূমিকায় অক্ষয়কে হাসাতে দেখা যাবে। এখানে তিনি ছাড়া রয়েছেন হুমা কুরেশি, অন্নু কপূর, সৌরভ শুক্লা।