কলকাতা: এবার পুজোয় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চারটি বাংলা সিনেমার প্রযোজকদের সঙ্গে বৈঠক বসল ফেডারেশন এবং রাজ্য সরকারের তরফে তৈরি করে দেওয়া কমিটি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনদেব, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, নিসপাল সিংহ রাণে, ফিরদৌসুল হাসান, পিয়া সেনগুপ্ত ও শ্রীকান্ত মোহতা। বিনোদিনী থিয়েটারের কর্ণধার জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, ডিস্ট্রিবিউটর শতদীপ সাহাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে প্রাইম টাইমে বাংলা সিনেমা থাকছে প্রতিটি মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিনে। পুজোর সময় যে বাংলা সিনেমাগুলি মুক্তি পাবে, সেগুলির স্ক্রিন শেয়ারিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। প্রতিটি ছবিই যাতে যথাযথ জায়গা পায় সেই বিষয়টিও উঠে এসেছে আলোচনায়। পুজোর পরে আবার বৈঠক হবে ডিসেম্বরে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা একাধিকবাংলা ছবি নিয়ে।
এর আগে, 'ধূমকেতু' (Dhumketu) সিনেমা মুক্তির আগে একবার আলোচনায় বসেছিলেন টলিউডের পরিচালক প্রযোজকেরা। উদ্দেশ্য, হিন্দি ছবির ঝড়ের মুখেও যেন নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে পারে বাংলা ছবি। সেই সময়ে সরকারের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, "এই রাজ্যে থাকা প্রত্যেকটি সিনেমা হল এবং প্রতিটি মাল্টিপ্লেক্সের প্রতিটি পর্দায়, সারা বছর ধরে বাধ্যতামূলকভাবে বাংলা ছবির শো/স্ক্রিনিং করতে হবে। বছরে ৩৬৫ দিনের প্রতিটি দিনই অন্তত একটি করে বাংলা শো রাখতে হবে। ব্যাখ্যা : প্রাইম টাইম শো-র অর্থ দুপুর ৩টে থেকে রাত ৯টার মধ্যে থাকা শো।" এই মুহূর্ত থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকরের কথা জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই মর্মে পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত জারি থাকতে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই সার্কুলারে।
বাংলা ছবি সিনেমা হল পায় না, এই অভিযোগ বিগত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে। বাস্তবে এই চিত্র অবশ্য অনেকটাই সত্যিও। মাল্টিপ্লেক্সের রমরমায় এমনিই দর কমেছে সিঙ্গল স্ক্রিনের। সেখানে আবার বাংলা ছবি চলে বেশ কম। আর মাল্টিপ্লেক্সেও যে প্রচুর শো পাওয়া যায় তেমনটা কিন্তু নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে সিনেমা প্রেমীরা মাঝেমধ্যে ক্ষোভ উগরে জানান যে, শো কম থাকার কারণে, বেশিরভাগ সিনেমা হলে ছবি আসেনি বলে, অনেক ভাল সিনেমা তাঁদের দেখার সুযোগ হয় না। তবে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে প্রাইম টাইমে বাংলা সিনেমা চালাতে হবে।