গুয়াহাটি: বিদেশে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েই কি মৃত্যু গায়ক জুবিন গর্গের? গতকাল পর্যন্ত এমন খবর মিললেও, শনিবার নয়া তথ্য সামনে এল। জানা গেল, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে নয়, লাইফ জ্যাকেট ছাড়া সাঁতার কাটার সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা খোদ এই তথ্য সামনে আনলেন।
যন্ত্রের সাহায্য়ে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাকালীন জলের নীচে বিচরণকে স্কুবা ডাইভিং বলা হয়। সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে জুবিন মারা গিয়েছেন বলে শুক্রবার খবর সামনে আসে। সিঙ্গাপুর থেকে এক আধিকারিক জানান, স্কুবা ডাইভিং চলাকালীন শ্বাসকষ্ট শুরু হয় জুবিনের। সঙ্গে সঙ্গে CPR দেওয়া হয় তাঁকে, নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
কিন্তু পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিমন্ত বলেন, “লাইফ জ্যাকেট ছাড়া সাঁতার কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় জুবিনের। সেই সময় জুবিনের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, সিঙ্গাপুরের স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।” হিমন্ত আরও জানান, ঘটনার সময়কার একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে ইয়ট থেকে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই সমুদ্রে ঝাঁপ দিতে দেখা যায় জুবিনকে। শনিবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি।
হিমন্ত যে ভিডিও-র কথা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সেটি ছড়িয়ে পড়েছে। সেটির উল্লেখ করে হিমন্ত বলেন, “প্রথমে লাইফ জ্যাকেট পরেই ইয়ট থেকে জলে ঝাঁপ দিতে দেখা যায় জুবিনকেয ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের পর ইয়টে ফিরে আসেন তিনি। জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় বার ফের জলে ঝাঁপ দেন জুবিন। কিন্তু সেবার আর লাইফ জ্যাকেট পরেননি। লাইফ জ্যাকেট পরে সাঁতার কাটতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।”
জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়াও গর্গ টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, সাত-র সঙ্গে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন জুবিন। ড্রামার শেখর এবং সিদ্ধার্থ নামের একজনও ছিলেন।আটজনে সকলেই লাইফ জ্যাকেট পরেছিলেন। কিন্তু জুবিন আবারও সাঁতার কাটতে যান। সেই সময় ‘Seizure Attack’ হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, আগেও একাধিকবার Seizure Attack হয় জুবিনের।
সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ৫২ বছরের জুবিন। ২০ এবং ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠান ছিল তাঁর। নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালের এক প্রতিনিধি জানান, জুবিন যে ওই ইয়টে গিয়েছেন, তা জানা ছিল না তাঁদের। এখনও পর্যন্ত যা খবর, সেই অনুযায়ী, ময়নাতদন্তের পর জুবিনের দেহ ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গুয়াহাটির সরুসজাইয়ে তাঁর দেব রাখা থাকবে।