করোণা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় দূরত্ববিধি মেনেই বিয়ে হয়েছে বলে পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে। বিবাহের আসরে নিকট আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিলিয়ে মাত্রই পঞ্চাশ জন অংশ নেন।প্রাচীর পরিবারের তরফে এক দিনের জন্য একটি বড় ফার্ম হাউজ বুক করা হয়। বাড়িটি স্যানিটাইজ করে তবেই অতিথিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
প্রাচীর বিয়ে লাভ ম্যারেজ। তবে পাত্র-পাত্রী দুজনেরই পরিবারের জমজমাট অংশগ্রহণে এবং পরস্পরের মধ্যে মেলামেশার ধরনে তা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজেরই চেহারা নেয়। পরস্পরের পরিবারের লোকজন অনেকদিন ধরেই পরিচিত। জানা যাচ্ছে, প্রীতি এবং রোহিত সরোহর বছর চারেক আগে একটি বিয়েতে প্রথমবার দেখা হয়। তাঁর প্রেমের গল্প সম্পর্কে প্রীতি এর আগে একবার বলেছিলেন, ‘আমার খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়েতে রোহিত মেয়েটির পক্ষ থেকে এসেছিল । সেই থেকেই আমাদের আলাপ ও প্রেম। পরিবারের সকলের সম্মতি ছিল আমাদের সম্পর্কে।‘
‘দিয়া অর বাটি হম’ এবং ‘এক্কিয়াওয়ান’ ছাড়াও দুটি পাঞ্জাবি, একটি মালায়ালাম এবং একটি তেলেগু ছবিও করেছেন প্রাচী। বিয়ের পরেও তার অভিনয়ের কেরিয়ার চালিয়ে যেতে চান প্রাচী। সাম্প্রতিক ইন্টারভিউতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার অভিনয় জীবন নিয়ে শ্বশুরবাড়ির আপত্তি নেই। সবাই খুব খুশি। নানা পাওয়ারফুল, ইন্টারেস্টিং চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেলে আমি বিয়ের পরেও কাজ করতে প্রস্তুত।‘
বিয়েতে বাঙালি ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা পোশাকে সেজে উঠতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। বিয়ের সাজের বেশ কিছু ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন প্রাচী। লাল লেহেঙ্গার সঙ্গে মানানসই গয়নায় সেজেছিলেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে বিয়ের আগে প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুট করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।