কলকাতা: 'যে পাল্টে গেল সে কে? অমল না রক্তিম?' প্রশ্নের ওপর প্রশ্ন, অন্ধকার, আন্দোলন আর রক্ত। স্কুলের বোর্ডের লেখা ডাস্টার দিয়ে মুছে দিচ্ছেন এক শিক্ষক। তার মধ্যেও পড়ে নেওয়া গেল শব্দ দুটো - 'ড্রাকুলা স্য়ার'। অনির্বাণ ভট্টাচার্য, মিমি চক্রবর্তীর নতুন ছবির সদ্য মুক্তি পাওয়া ট্রেলার জুড়ে শুধুই রহস্য আর ভয়।
দেবালয় ভট্টাচার্যের পরিচালনায় প্রথমবার রুপোলি পর্দায় একই ফ্রেমে আসতে চলেছেন অনির্বাণ-মিমি। হলিউড, বলিউডের পর এবার টলিউডেও কি ড্রাকুলার হানা? ট্রেলার আভাস দিচ্ছে তারই। ১মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ট্রেলারে মিলেমিশে আছে ১৯৭১ থেকে ২০২০ সাল। অনির্বাণ-মিমির পাশাপাশি ছবিতে দেখা যাবে রুদ্রনীল, বিদীপ্তা চক্রবর্তীর মতো অভিনেতাদের।
কেন্দ্রের নির্দেশিকার পর প্রথম ছবি মুক্তির কথা ঘোষণা করেছিল টিম 'ড্রাকুলা স্যার'। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল মার্চ মাস নাগাদ। কিন্তু করোনা আবহে তা আটকে যায়। এই ছবিটি ওটিটিতে মুক্তির কথা কখনওই ভাবেননি পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তাই অপেক্ষা ছিল সিনেমাহল খোলার। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকেই খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সমস্ত সিনেমাহল।
ট্রেলারে অনির্বাণের অগোছালো স্কুলশিক্ষকের রূপ প্রথম দর্শনে ছাপোষা বলেই মনে হয়। কিন্তু পরের মুহূর্তেই কাঁপুনি ধরায় তাঁর বাইরের দিকে ঠেলে বেরিয়ে আসা দুটো ক্যানাইন। অন্যদিকে চওড়া পাড়ের শাড়ি, পিঠ ছাপানো চুল, কপালের টিপে মিমির পুরাতনী লুক মনে করিয়ে দেয় 'গানের ওপারে'-র কথা। পোশাক থেকে পরিবেশ, বারবার ছবিতে একটি বিশেষ পিরিয়ডকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। এসেছে নকশাল আন্দোলনের প্রসঙ্গও। ছবিটির প্রযোজনায় শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মস।
আসছে পুজো। সিনেমাহলেও আসছে 'ড্রাকুলা স্যার'। ইতিমধ্যেই প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ ইউটিউবে দেখে ফেলেছেন ট্রেলারটি। শুধুই কি এক ভ্যাম্পায়ারের গল্প বলবে মিমি-অনির্বাণ? নাকি অন্য কোনও ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে অমল সোম-এর কবরের আড়ালে? উত্তর লুকিয়ে রুপোলি পর্দায়।