কলকাতা: ৪০ বছর ধরে নায়ক হিসেবে কাজ করেছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে। ছবির হিসেব রাখতে গিয়ে অনুরাগীদেরই হোঁচট খেতে হয়। কিন্তু এখনও নাকি ছবি মুক্তির আগে একই রকম উদ্বেগ কাজ করে তাঁর মধ্যে! বার বার কফি খান, রাগ হয়ে যায় খুব সহজেই! নতুন ছবি 'কাবেরী অন্তর্ধান' (Kaberi Antardhaan) মুক্তির আগে এবিপি লাইভের সঙ্গের আড্ডায় অজানা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)-কে তুলে ধরলেন ইন্ডাস্ট্রির 'বুম্বাদা'।
আজ মুক্তি পেয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly) পরিচালিত ছবি 'কাবেরী অন্তর্ধান' (Kaberi Antardhaan)। এত সাফল্যের পরেও ছবি মুক্তির আগেও কি একইরকম স্নায়ুর চাপ অনুভব করেন প্রসেনজিৎ? অভিনেতা বলছেন, 'আমি একটা ঘোরের মধ্যে থাকি। ছবি মুক্তির আগের রাতে আমি আর কৌশিক এডিট এফেক্টসের ঘরে বসে ছিলাম। ওই ঠান্ডায়, হুডি পরে টানা বসে দুজন। হাঁটছি.. অনর্থক কথা বলছি। আসলে ওগুলো চাপ কমানোর জন্য। আমার সঙ্গে যাঁরা বহুদিন আছেন, তাঁরা জানেন, ছবির মুক্তি যত এগিয়ে আসে, আমার হাঁটা বেড়ে যায়। একা রাত ১টা ২টো পর্যন্ত বাড়ির লনে, বাগানে পায়চারি করি। একটু মেজাজটাও গরম থাকে। বেশি কফি খেয়ে ফেলি। অনেকে আবার উদ্বেগে থাকলে বেশি খাবারও খেয়ে ফেলেন, সেই অভ্যাস আমার নেই। আসলে আমাদের টিঁকে থাকার লড়াইটা তো দর্শকদের ওপরেই নির্ভরশীল। নায়ক হিসেবে আগামী বছর ৪০ বছরে পা দেব আমি। এত বছর ধরে কেবল নিজেকে ভাল লাগানোর চেষ্টাই করেছি। কিন্তু এখনও ছবি মুক্তি মানে পরীক্ষার ফলাফল বেরনোর আগের রাতের মতোই টেনশন হয়। পেট গুড়গুড় করে, মাথা ব্যথা করে, বমি পায়..।'
এর আগেও জ্যেষ্ঠপুত্র (Jyesthoputro) বা দৃষ্টিকোণ (Dristikon)-এ পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন অভিনেতা। এই ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে প্রসেনজিৎ বললেন, 'কৌশিকের সঙ্গে কাবেরী অন্তর্ধান আমার চতুর্থ ছবি। কিন্তু কেবল ছবি না, আমার সঙ্গে দীর্ঘদিনের ভাল সম্পর্ক ওর। দিন দিন সেই বোঝাপড়াটা আরও বাড়ছে। আমি ওর দিকে তাকালে বুঝতে পারি ও কি চায় আর একটা শটের পরে কৌশিকও আমার মুখ দেখে বুঝতে পারে বুম্বাদা আরও একটা শট চায়। এই সম্পর্কটা যেন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মতো। সেখানে মান অভিমান থাকে, ভালবাসা থাকে। আসলে আমরা তো একটা জিনিস সৃষ্টি করছি। আর এই সবটাই সেই কাজটাকে ভাল করার জন্য। ঠিক যেমন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও ঝগড়া অশান্তি হয় সংসারটা ভাল রাখার জন্যই।'