মুম্বই : বলিউডে নয় নয় করেও ছ'টা বছর কাটিয়ে ফেললেন 'দম লাগাকে হ্যায়সা' অভিনেত্রী ভূমি পেড়নেকর (Bhumi Pednekar)। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এতগুলো বছর অভিনেত্রী হিসেবে কাটিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা তিনি নিজের ঝুলিতে ভরে ফেলেছেন। কখনও তা মধুর আবার কখনও তা তিক্ত। পাশাপাশি, গত দেড়টা বছর ধরে করোনা অতিমারির জেরে চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি সব কিছুই বদলে যেতে দেখছেন। ফলে আরও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে তাঁর মধ্যে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।


আরও পড়ুন - 'নিজের জন্য লড়তে হবে নিজেকেই', কীসের বার্তা নুসরতের লেখায়?


একটি সাক্ষাৎকারে সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ভূমি পেড়নেকর বলছেন, 'সৌন্দর্যের অনেকরকম ব্যাখ্যা হয়। এর অনেকগুলো পর্যায়ও রয়েছে। একজন নারীর সৌন্দর্য শুধু মেয়ে বা মহিলা হিসেবে নয়। একজন নারী কারও সে মা হতে পারে, সে কারও বোন হতে পারে। সে কারও স্ত্রী হতে পারে। আবার সে কারও সঙ্গীও হতে পারে। তাই একজন নারীকে সারাদিনে অনেকরকম ভূমিকায় থাকতে হয়। তাই তাঁর মুড বা মেজাজও আলাদা আলাদারকমের হয়। বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। তাই একজন নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, আমাদের তাঁর ভিতরের সৌন্দর্যকে দেখা দরকার।'


আরও পড়ুন - Taapsee Pannu’s Rashmi Rocket: কবে মুক্তি পাবে তাপসী পান্নুর নতুন ছবি 'রশ্মি রকেট'?


আয়ুষ্মান খুরানার বিপরীতে 'দম লাগা কে হ্যায়সা' দিয়ে বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেন ভূমি পেড়নেকর। সেই ছবিতে তাঁকে চেহারার গঠন দর্শকদের চমকে দিয়েছিল। তার থেকেও বেশি চমকে দেয়, যখন তিনি সেই চেহারা থেকে ওজন কমিয়ে একেবারে ঝরঝরে ফিট হয়ে দর্শকদের সামনে ধরা দেন। ফিটনেস সম্পর্কেও তাঁর মতামত তিনি জানান। বলেন, 'ফিটনেস বলতে আমি সুস্থ থাকাকে বুঝি। ফিটনেস আমার কাছে শুধু শরীরের জন্য নয়। মানসিক সুস্থতার জন্য়ও আমি ফিট থাকতে পছন্দ করি।' লকডাউনের সময়টায় পরিবারকে নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলেন অভিনেত্রী। বলছেন, 'প্রথম লকডাউনটায় আমি পরিবারের সঙ্গেই ছিলাম। পরিবারের সঙ্গে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। তবে, প্রত্যেকের স্বাস্থ্য নিয়ে খুব চিন্তায় দিন কাটাতাম।'


আজকের দিনে সম্পর্ক যেন বড়ই ঠুনকো। নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে ব্রেক-আপ আর প্যাচ-আপ যেন রোজকার ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। কোনও সম্পর্ককে ধরে রাখতে গেলে একে অপরের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা থাকা খুবই জরুরি। এমনটাই মনে করেন ভূমি পেড়নেকর। বলছেন, 'একটা সুস্থ এবংসুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রথমেই নিজেকে ভালোবাসা প্রয়োজন। যদিও প্রত্য়েকের ভালোবাসার ধরন আলাদা আলাদা। তবুও, যদি আমরা আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখি, তাহলেই ভালোবাসার সম্পর্কগুলো আরও মজবুত এবং স্বাস্থ্যকর হবে।'