চেন্নাই: গোটা বিশ্বে ফ্যানদের কাছে তিনি ভগবান বলে পূজিত। কিন্তু রজনীকান্তের মেয়ে ঐশ্বর্যা মনে করেন, তাঁর বাবা কিছু কিছু ছবিতে বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন। ঐশ্বর্যা বলেছেন, তিনি রজনীর সবথেকে বড় সমালোচকদের একজন। বাবার সমালোচনা তিনি করেই থাকেন, তবে অবশ্যই খুব বেশি কড়া না হয়ে।


দক্ষিণী অভিনেতা ধনুষের স্ত্রী ঐশ্বর্যা নিজে চিত্রনির্মাতা। তিনি তাঁর প্রথম বই ‘স্ট্যান্ডিং অন অ্যান অ্যাপল বক্স’ মুক্তি উপলক্ষ্যে কথা বলছিলেন। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সবথেকে জনপ্রিয় অভিনেতার মেয়ে হওয়ার নানা দিক গল্পের ছলে তুলে ধরা হয়েছে এতে।

বইটি সেই সব তারকা সন্তানদের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন ঐশ্বর্যা, যাঁরা বরাবর স্পটলাইটে থেকেও কাণ্ডজ্ঞান ধরে রাখতে পেরেছেন।

বাবা রজনী ও স্বামী ধনুষের মধ্যে সম্পর্কের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে ও কাজের দিক থেকে তাঁরা পরস্পরকে শ্রদ্ধা করেন। ধনুষ ছোটবেলা থেকে তাঁর বাবার ভক্ত। আবার তিনি যে কারও জামাই, এই পরিচয় না ভাঙিয়েই জীবনে দাঁড়াতে পেরেছেন, তা গভীরভাবে সম্মান করেন রজনী।

তবে নিজের ২ সন্তানকে ফিল্মি গ্ল্যামার থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখেন ঐশ্বর্যা। শুধু বাবা ও দাদুর ছবি দেখতে পায় তারা, বাকি সব কার্টুন ছবি। এই দুজন ছাড়া অন্য কোনও তারকার কথা জানেও না তারা। ব্যক্তিগতভাবে ঐশ্বর্যা চান, বড় হয়ে তারা যেন বৈজ্ঞানিক হয়।

ইন্টারনেটে যে সব রজনীকান্ত জোকস ঘুরে বেড়ায়, তা নিয়েও খোলামেলা রজনী কন্যা। জানিয়েছেন, তাঁর বাবাও এগুলিতে যথেষ্ট মজা পান ও প্রাণ খুলে হাসেন। যেভাবে প্রতিটি নাটকীয় মুহূর্তে রজনীর উপস্থিতি নিয়ে চুটকি ছড়িয়েছে, তা মজার ভালবাসাপূর্ণ প্রকাশ বলে মনে করেন তিনি।