মুম্বই: আমির খানের  ‘দঙ্গল’-এ বলিউডে আত্মপ্রকাশ  হয়েছিল ফতিমা সানা শেখের।  আবির্ভাবেই হিন্দি ছবির দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ‘দঙ্গল’-এ সুযোগ পাওয়ার আগে  একাধিকবার তাঁকে প্রত্যাখ্যান পেতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফতিমা নিজেই। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাত্কারে  দীপিকা পাড়ুকোন বা ঐশ্বর্যা রাইয়ের মতো দেখতে নন বলে জানিয়ে তাঁকে খারিজ করে  দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি । বলেছেন, আমায় বহুবার শুনতে হয়েছে, তুমি তো কখনও হিরোইন হতে পারবে না। তুমি দেখতে দীপিকার মতো নও, ঐশ্বর্যার মতোও নয়। কী করে হিরোইন হবে!  ওদের মতো লোকজন আছে যারা মন ভেঙে দেবে। কিন্তু এখন  পিছনের দিকে তাকিয়ে ভাবি, ভালই হয়েছে। ওটাই ওদের কাছে সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি। ওরা মনে করে, হিরোইন হতে গেলে কাউকে এরকম বা ওরকমই দেখতে হতে  হবে। আর আমি সেই সারিতে পড়ি না। কিন্তু এখন সুযোগ আছে। আমার মতো লোকজনের জন্যও ছবির সুযোগ আসছে,যারা  সুপারমডেলদের মতো নয়, দেখতে স্বাভাবিক, গড়পড়তা।


কেরিয়ারের শুরুতে তাঁর যে যৌনগন্ধী আচরণের অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তাও সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন ফতিমা। জানিয়েছেন, সমাজের এত গভীরে যৌন লিপ্সার স্রোত বয়ে চলেছে যে, মাত্র তিন বছর বয়সে তাঁরও শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল। ফতিমার কথায়, আমায় লোকের কাছে শুনতে হয়েছে যে, কাজ পাওয়ার একমাত্র রাস্তা হল যৌন সম্পর্কে রাজি হওয়া। আমারও এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। যে কোনও কারণেই হোক, আমি কাজ হারিয়েছি, অন্য কেউ তা পেয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়, এই ইন্ডাস্ট্রি ছাড়া অন্যত্রও বহু লোক অজস্র বাধার মুখে পড়ছেন এবং যৌনতা খুব প্রাসঙ্গিক, প্রতিটি  ইন্ডাস্ট্রিতেই আছে। ৫ বছর, না, তিন বছর বয়সে আমার শ্লীলতাহানি হয়েছিল। সুতরাং যৌনতার শিকড় যে কতটা গভীরে, সেটাই বোঝা  যাচ্ছে। প্রতিদিন এর সঙ্গে লড়তে  হয়। প্রতিটি মহিলাকে, সংখ্যালঘুকে রোজ লড়তে হয়। তবে আমাদের ভবিষ্যত্ উন্নত হবে, আশা করছি।

সামনেই ‘লুডো’ ও ‘সুরয পে মঙ্গল ভারী’-এই পরপর দুটি ছবিতে দেখা যাবে ফতিমাকে।