মুম্বই: মহারাষ্ট্রের জালনা জেলায় বাড়ির বউ ও তাঁর পুরুষ বন্ধুকে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে ট্রাক্টরের তলায় পিষে মেরে ফেলেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন! এমনই মারাত্মক অভিযোগ পেয়ে বাথওয়েল  সম্পত লালজারে ও বিকাশ লালজারে নামে দুই অভিযুক্তকে  গ্রেফতার করল পুলিশ। তারা বাবা ও ছেলে। এ ব্যাপারে আমবাদ থানার ইনস্পেক্টর অনিরুদ্ধ নান্দেকর জানিয়েছেন, দুজনেই ঘাঙ্গসাওয়াঙ্গি তহসিলের ছাপালগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। বাথওয়েল ট্রাক্টরের তলায় চাপা পড়ে মৃত মারিয়া নামে মহিলার শ্বশুর, বিকাশ তাঁর দেওর।


৩২ বছর বয়সি  মারিয়া লালজারের স্বামী ১০ বছর আগে মারা  গিয়েছেন, তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। তাঁর সঙ্গে গ্রামেরই ২৭ বছর বয়সি বিবাহিত যুবক হার্বাক ভাগবতের সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা এটা জানতে পেরে তীব্র আপত্তি করে, এমনকী ভাগবতকে হুমকি পর্যন্ত দেয়।  আমবাদ থানায় ও জেলার পুলিশ সুপারের কাছে বাপ-ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ওরা তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা জানান ভাগবত।

৩০ মার্চ মারিয়া, ভাগবত পালিয়ে গুজরাত চলে যান।  মারিয়ার পরিবারের লোকজন তাঁর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে থানায়। ২২ এপ্রিল পুলিশ দুজনকে গুজরাত থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। গ্রামে ফিরে দুজনে একসঙ্গে থাকছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২৮ অক্টোবর মোটরসাইকেলে দুজনে কাছের এক গ্রামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেরলে অভিযুক্ত বিকাশ লালজারে  ট্রাক্টর দিয়ে মোটরবাইকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে তাঁদের পিষে মারে বলে অভিযোগ। জখম অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার  পথে রাস্তায়ই মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভাগবতের স্ত্রী বিকাশ ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে স্বামী ও মারিয়াকে হত্য়ার অভিযোগ তুলেছেন। ইনস্পেক্টর  নান্দেকর বলেছেন, বিকাশ ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে  ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারায় মামলা দায়ের করা  হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে।