কলকাতা: ক্রুজ কর্ডেলিয়া মাদককাণ্ডে ইতিমধ্য়েই ক্লিনচিট পেয়েছেন শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর চার্জশিটে উল্লেখ, আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে এনসিবির বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় তৎকালীন এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। যা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এবার এই ঘটনার জেরেই মুম্বই থেকে চেন্নাই বদলি করা হল এনসিবি জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে। ট্যাক্সপেয়ার সার্ভিসে বদলি হলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। দিল্লি থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি হলেন তিনি।


আরও পড়ুন Mannat Nameplate Removed: শাহরুখের মন্নত থেকে উধাও ২৫ লাখের নেমপ্লেট! কীভাবে?


এনসিবির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান ক্রুজ কর্ডেলিয়ায় মাদক কিনেছিলেন কিংবা মাদক পাচার করেছিলেন, এমন কোনও তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আরিয়ান মাদক সেবন করেছিলেন কি না, সে তথ্যও মেলেনি! কারণ, ধরা পড়ার পরে তাঁর মেডিক্যাল টেস্টই করাননি এনসিবির তদন্তকারীরা। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর ডিরেক্টর জেনারেল এস এন প্রধান জানান, ১৪ জনের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে, ৬ জনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।


আরও পড়ুন Debjani Chatterjee Exclusive: শাশ্বত চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে অভিনয়, আমার জীবনের অন্য়তম সেরা পাওনা: দেবযানী চট্টোপাধ্য়ায়



আরিয়ান খানের গ্রেফতারির পরই NCP নেতা নবাব মালিক অভিযোগ করেন, শাহরুখ-পুত্রকে পরিকল্পনামাফিক ফাঁসানো হচ্ছে। এনসিবির তৎকালীন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধেও নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলেন তিনি। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজায় সরগরম হয়ে ওঠে বাণিজ্য নগরী।


মুম্বইয়ের কর্ডেলিয়া প্রমোদতরীতে হানা দিয়ে মাদক-যোগের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান। মাদককাণ্ডে ২৭ দিন জেলে থাকতে হয়েছিল আরিয়ানকে। মাদক-সিন্ডিকেট এবং বিদেশি মাদক পাচারকারীদের যোগসূত্রের অভিযোগে NDPS আইনের ৩৭ ও ২৭ নম্বর জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে এনসিবি। একাধিকবার জামিন খারিজ হয় শাহরুখ খানের বড় ছেলের। পরবর্তী সময়ে জামিন মঞ্জুর হয়। ও অবশেষে ক্লিনচিটও পান আরিয়ান খান।