উত্তর ২৪ পরগনা: ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ায় নয়া সংযোজন স্মার্ট মিটার। এদিকে সেই স্মার্ট মিটার নিয়েই বিক্ষোভ রাজ্যের জেলায় জেলায়। অভিযোগ, বাড়িতে একই বিদ্যুৎচালিত সামগ্রী চালিয়ে যেখানে আগে একরকম বিল আসত। এখন সেই একই বিদ্যুৎ চালিত সামগ্রী চালিয়ে কয়েকগুণ বেশি বিল আসছে। সহজ কথায় বলতে গেলে যা কিনা অস্বাভাবিক বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। এবং অভিযোগটা কারও একার নয়। প্রায় সবজেলা থেকে কমবেশি এমন অভিযোগ আসছে। এবার গুরুতর অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তি নিয়ে যে কথা বলবে, আমরা তাঁকেই ভোট দেব..', বললেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কুশলবরণ চক্রবর্তী

Continues below advertisement

স্মার্ট মিটারের বিরুদ্ধে এবার পথে নেমে বিক্ষোভ। বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে অবরোধ করে স্থানীয়দের। স্মার্ট মিটারে বিদ্যুতের বিল বাড়ছে, অভিযোগ স্থানীয়দের। স্মার্ট মিটার তুলে ফেরাতে হবে ডিজিটাল মিটার, দাবি স্থানীয়দের। এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, আগে যে বিলটা দিতাম, এখন তার ডবল বিল আসছে। দু দিন-তিন দিন-চার দিন পরপর এরা বিল পাঠাচ্ছে। এখন বর্তমানে যা আসছে, অতিরিক্ত বিল তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। এখন কী চাইছেন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুরনো মিটার আমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে।(WBSEDCL) ইলেকট্রিক সাপ্লাই দফতরে কোনও কাগজ পত্র জমা করবেন ? প্রশ্নের উত্তরে তিনি 'হ্যাঁ' বলেন। তাঁরা সকলের সই জোগাড় করে অভিযোগ একত্রিত করেছেন বলে জানিয়েছেন।  

অপরদিকে, অ্যাবেকা (ABECA) অর্থাৎ অলবেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনসিউমার অ্যাসোশিয়ান এর তরফে  শুরু হয় আন্দোলন।  পুরনো মিটার ফিরিয়ে দাও। বিদ্যুৎ নিয়ে ব্যবসা করা চলবে না। তোলা হয় এই স্লোগান। অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, অ্যাবেকা এর পক্ষ থেকে আমরা এই আন্দোলন শুরু করেছি।  আজকে লাইন দিয়েই শান্তিপূর্ণভাবে জমা দেওয়া হবে। কিন্তু ওরা বিভ্রান্তিকর কথা বলছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এই মিটার বেআইনি। গ্রাহকের কোনও অনুমতি নেয়নি। আমরা ABECA এর পক্ষ থেকে জমা দিতে চাই। কিন্তু ওরা তাতেও বিভ্রান্তি করছে।

ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় এই অভিযোগ উঠে আসছে। বিষয়টা যে পঁচিশ সালেই প্রকাশ পেয়েছে, এমনটা নয়। গত কয়েকবছরে ভিন রাজ্যের যেখানেই ইনস্টল হয়েছে, অভিযোগ উঠেছে সেখানেও।  এবার কথাটা হচ্ছে স্মার্ট মিটারে এমন অস্বাভাবিক বিল আসার অভিযোগ উঠছে কেন বারবার ? ঘাটতিটা কোথায় ? প্রশ্ন উঠেছে।