মুম্বই: আজ জন্মদিন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজলের। এই বছর ৪৭ বছরে পা দিলেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রির লোক থেকে পরিবারের সদস্যরা, প্রত্যেকেই একবাক্যে স্বীকার করেন যে, কাজল কাজের প্রতিটা কতটা দায়িত্বশীল। পাশাপাশি অভিনেত্রী কেমন স্বভাবের, সে সম্পর্কেও আপনারা খানিকটা আন্দাজ করতে পারেন। একটি সাক্ষাৎকারে কাজল জানিয়েছিলেন যে, ছোটবেলা থেকেই তিনি মারাত্মক একগুঁয়ে, জেদি এবং আবেগপ্রবণ ছিলেন। এর পাশাপাশি কাজল সম্পর্কে অভিনেত্রীর সহ-অভিনেতা থেকে ইন্ডাস্ট্রির অন্য়ান্যদের মত, তিনি খুবই কথা বলতে ভালোবাসেন এবং হাসি-মজা করে সময় কাটান। এই প্রসঙ্গে কাজলের 'হ্যান্ডসাম হাজব্যান্ড' এবং বলিউডের আরও এক জনপ্রিয় অভিনেতা অজয় দেবগণ তাঁর ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন, কাজলের সঙ্গে যখন তাঁর বিয়ে হয়, বিয়ের পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা কাজলকে নিয়ে একটা বিষয়ে দারুণ উৎসাহী ছিলেন।


একটি সাক্ষাৎকারে অজয় দেবগণ বলেন, 'কাজল এবং আমি দুজনে একে অপরের জন্য একেবারে আদর্শ। যদিও আমরা দুজনেই কিন্তু একদমই ভিন্ন স্বভাবের মানুষ। কিন্তু আদর্শ সঙ্গী বলতে যা বোঝায়, আমি আর কাজল একদমই তেমন। যখন কাজল আর আমি বিয়ে করি, তখন আমার বাড়ির লোকেরা কাজলকে নিয়ে দারুণ খুশি ছিল। কারণ, ও প্রচুর কথা বলে। আমার বাড়ির লোকেদের বক্তব্য ছিল, যাক অবশেষে এমন একজন সদস্যকে বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে, যে কথা দিয়ে বাড়িটাকে ভরিয়ে রাখবে। সত্যি কথা বলতে কি, দুটো মানুষের মধ্যে একজনের কথা বলা জরুরি। দুটো মানুষই যদি চুপচাপ স্বভাবের হয়, তাহলে সমস্যা হতে পারে। কাজল কথা বলতে খুব ভালোবাসে আর আমি চুপচাপ থাকতে।'


তিনি আরও বলেন, 'একটা জুটি তখনই সফল জুটি হিসেবে গণ্য হয়, যখন তাঁরা একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে। হতেই পারে তাঁদের পছন্দ অপছন্দ আলাদা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বোঝাপড়াটা যেন সঠিক থাকে।' একদিকে পর্দায় শাহরুখ-কাজল জুটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। দর্শকরাও সেই জুটিকে বলিউডের সেরা জুটি হিসেবে মনে করে। তখন কীভাবে কাজলের প্রতি ভালোলাগা তৈরি হল? এই প্রসঙ্গ কথা বলতে গিয়ে অজয় দেবগণ বলেন, 'আমি এখনও সত্যিই জানি না যে কেন কাজলের প্রতি আমি আকৃষ্ট হয়েছিলাম। শুধু আমি নয়, আমরা দুজনেই জানি না যে, দুজনের একে অপরের প্রতি কীভাবে আর কবে ভালোলাগা তৈরি হয়েছিল। আমরা কথা বলা শুরু করলাম। তারপর আমাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব হল। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে এবার বিয়েটা করে ফেলব। এমনকি হয়তো কেউ বিশ্বাস করতে চাইবে না, কিন্তু এটাই সত্যি যে, আমরা কেউ একে অপরকে প্রোপোজ করিনি। আমাদের বন্ধুত্ব থেকে প্রেম থেকে বিয়ে সবই নিজে নিজেই হয়ে গিয়েছে।'


সম্পর্কের শুরুর কথা বলতে গিয়ে অজয় বলেন, 'হলচল ছবির শ্যুটিংয়ের সময়ে প্রথমবার কাজলের সঙ্গে আমার দেখা হয়। সত্যি কথা বলতে কি, তারপর আমার খুব একটা ওর সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছে হয়নি। ওর সঙ্গে যখন প্রথম দেখা হয়, দেখি, ও এমন একটা মেয়ে যে খুব জোরে কথা বলে, উদ্ধত স্বভাবের এবং সারাক্ষণ কথা বলে যায়। আর আমি চুপচাপ স্বভাবের। তাই স্বাভাবিকভাবেই ও আমার একেবারেই উল্টো স্বভাবের মানুষ। তাই কবে আর কীভাবে যে ওর সঙ্গে এতগুলো বছর কাটিয়ে ফেললাম, তা আজও ভেবে উঠতে পারি না।' প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে কাজলের সঙ্গে বিয়ে হয় অজয় দেবগণের। বলিউডের এই জনপ্রিয় জুটির শুধু রিল লাইফেই নয়। বাস্তব জীবনেও তাঁরা দুর্দান্ত জুটি। ছেলে যুগ এবং মেয়ে নাইসাকে নিয়ে তাঁদের সুখী পরিবার।