কলকাতা : পুজোর ছুটির পরে পর্যায়ক্রমে স্কুল খোলার ভাবনা। একদিন অন্তর স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, করোনার জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ। এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে পঠন-পাঠন। করোনা পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সম্প্রতি মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হয়েছে। তার পর থেকে নতুন করে কবে ফের স্কুল খুলবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।


এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে শীঘ্রই। এই আশঙ্কার মধ্যেই আজ নবান্নে তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের তৈরি গ্লোবাল টিম ইতিমধ্যেই ৬৫টি বৈঠক করে ফেলেছে। আজ ছিল ৬৬তম বৈঠক। 


নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে নানা ধরনের কাজ হয়েছে। অক্সিজেনের জোগান, পাল্স অক্সিমিটার, অনেক লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মানুষের কাছে এই খবর পৌঁছে দিতে হবে যে, অক্সিজেন পাওয়া যাবে। ভয় না পেয়ে যখন প্রথমেই মনে হবে যে জ্বর হয়েছে বা কাশি হচ্ছে, চট করে দেখিয়ে নিতে হবে। যাতে আগে আগে অসুখ শনাক্ত হয়ে চিকিৎসা শুরু হয়ে যায়। মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে, দেরিতে চিকিৎসা শুরু করা।


এদিকে সামনেই উৎসবের মরশুম। সেই সময় জমায়েত হলে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গত বছর রাজ্যের তরফে নানা রকম পদক্ষেপের জেরে সেই সময় সংক্রমণ ঠেকানো গিয়েছিলে অনেকটাই। আজ সেকথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল নোবেলজয়ীর গলায়। অভিজিৎবাবু বলেন, গতবার উৎসবের মরশুমে আমরা একটা প্রোটোকল সুপারিশ করেছিলাম। সেটা রাজ্য সরকার খুব ভালভাবে মেনে চলেছিল।


উল্লেখ্য, বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮২৬ জন। তার আগের দিন এই সংখ্যাটি ছিল ৭২৯। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৫,৩০,৮৫০ জন। ৪ অগাস্টের হিসাবে এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্ত রোগী ১০, ৭৪৫।