নয়াদিল্লি: মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty), হাজার হাজার ভারতীয় সিনেপ্রেমীর (India Cinema) খুব পরিচিত নাম। এমন নাম যার সঙ্গে বহুমুখী প্রতিভা, অফুরন্ত এনার্জি, অপ্রতিরোধ্য ট্যালেন্ট সমার্থক। প্রায় চার দশক ব্যাপী কর্মজীবনে মিঠুন চক্রবর্তী নিজেকে বলিউড ও টলিউডের এক আইকনিক ও ভালবাসার চরিত্র হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তাঁর চোখ ধাঁধানো নাচের স্টেপ থেকে দুর্দান্ত অভিনয়, দর্শকদের মন মাতিয়েছেন তিনি চিরকালই। 


১৯৫০ সালের ১৬ জুন, কলকাতায় জন্ম নেন মিঠুন চক্রবর্তী (Happy Birthday Mithun Chakraborty)। বিনোদন দুনিয়ায় তিনি পা রাখেন অভিনয়ের প্রতি আবেগ এবং শ্রেষ্ঠত্বের নিরলস সাধনার থেকে। তাঁর নিজের অনন্য ক্যারিস্মা তাঁকে 'স্টারডম' এনে দিতে দেরি করেনি। 


সিনেমা জগতে তাঁর স্মরণীয় কিছু ছবি এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক। 


'মৃগয়া' (১৯৭৬)


জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে এক আদিবাসী শিকারীর ভূমিকায় দেখা যায়। তাঁর নাম ছিল শঙ্কর। সংস্কৃতি ও আধুনিকতার জাঁতাকলে পড়ে যাওয়া এক মানুষের চরিত্রে তাঁর অভিনয় তাঁকে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার এনে দেয়। 


'ডিস্কো ডান্সার' (১৯৮২)


মিঠুন চক্রবর্তীর জনপ্রিয় চরিত্রের নামে জিমি থাকবেই। বস্তি এলাকার এক প্রতিভাবান যুবক নৃত্যশিল্পীর রকেটগতিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যাওয়া। ছবির গান এবং অভিনেতার জনপ্রিয় 'ডিস্কো ডান্সার' নাচ তৎক্ষণাৎ হিট হয়। এই ছবির পর ভারত ও বিদেশে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বিপুল হয়।


'শওকিন' (১৯৮২)


কমেডি-ড্রামা ঘরানার এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে এক অল্পবয়সী, নিরীহ চিত্রশিল্পীর ভূমিকায় দেখা যায়, যার নাম শ্যাম। দুর্দান্ত কমিক টাইমিং এবং নিখুঁত চরিত্রায়ণ সিনেমার সাফল্য এনে দেয়। প্রশংসা পান দর্শক ও সমালোচকদের।


'পেয়ার ঝুঁকতা নেহি' (১৯৮৫)


এই ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল বিজয়। প্রেম ও পরিবারের সমস্যার জালে পড়ে যাওয়া এক যুবকের গল্প। একটি বিবাদমান প্রেমিকের চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকদের সঙ্গে তাঁকে একাত্ম করে তোলে, যা ছবিটিকে দুর্দান্ত সাফল্যে পরিণত করে।


'অগ্নিপথ' (১৯৯০)


কাল্ট ক্লাসিক এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী কৃষ্ণন আইয়ার এমএ-র চরিত্রে অভিনয় করেন। এক গ্যাংস্টার, কিন্তু যাঁর হৃদয়টা সোনায় মোড়া। দুর্নীতি ও কুকর্মের দুনিয়ার মাঝে তাঁর মতো সুহৃদয় গ্যাংস্টারের এক চরিত্র দর্শক বেশ পছন্দ করেন।


আরও পড়ুন: Fathers Day 2023: কিছু উপহারের আইডিয়া 'পিতৃ দিবস'-এ বাবাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য


'গুরু' (২০০৭)


স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে বড় শিল্পপতি হয়ে ওঠা গুরুর চরিত্রে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে। সমালোচকদের বেশ পছন্দের ছবি এটি। 'ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস'-এ সেরা সহ অভিনেতার পুরস্কার পান তিনি এই ছবির জন্য। 


আজ ৭৩তম জন্মদিন পালন করছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আজও তাঁর উত্তরাধিকার বহন করে নিয়ে চলেছেন।