মুম্বই: আজ জন্মদিন কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের (Sharmila Tagore Birthday)। বাংলা, হিন্দি মিলিয়ে বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে 'আরাধনা' ছবিতে। কখনও আবার 'অমর প্রেম'-এ। কখনও আবার 'অমানুষ'এ। বহু ছবিতে বলিষ্ঠ অভিনয় করে দর্শকের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর। রুপোলি পর্দার মতো অভিনেত্রীর জীবনও খুবই রঙ্গিন। তাঁর জীবনের ভালোবাসার গল্পও যেন রূপকথার মতো। পতৌদির নবাব মনসুর আলি খানের (Mansoor Ali Khan Pataudi) সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুরের রূপকথার প্রেমকাহিনী আজও চর্চিত হয়।
আরও পড়ুন - Samantha Updates: নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সামান্থা রথ প্রভু
জানা যায়, সালটা তখন ১৯৬০। রুপোলি পর্দায় তখন একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে কার্যত রাজত্ব করছেন শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)। অন্যদিকে সেই সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন মনসুর আলি খান পতৌদি। তাঁকে বহু মানুষ টাইহার পতৌদি নামেও ডাকতেন। ক্রিকেট খেলা দেখতে শর্মিলা ঠাকুর বেশ পছন্দই করতেন। কিন্তু ক্রিকেট সম্পর্কে তাঁর বিশেষ ধারণা ছিল না। একইরকমভাবে সিনেমাও দেখতে পছন্দ করতেন টাইগার পতৌদি। কিন্তু শর্মিলা ঠাকুরের সমস্ত ছবি তাঁর দেখে ওঠা হয়নি। ১৯৬৫ সাল নাগার দিল্লিতে ম্যাচের পর পার্টিতে এক বন্ধুর মারফৎ দেখা হয় দুজনের। এভাবেই শুরু হয় শর্মিলা ঠাকুর ও মনসুর আলি খান পতৌদির রাজকীয় প্রেমকাহিনী। সেই সময়ে কার জানা ছিল যে, তাঁদের সেই সাক্ষাৎ চিরদিনের বন্ধনে পরিণত হবে। সেই শুরু। তারপর সেই দেখা পরিণত হল বন্ধুত্বে। তৈরি হল ভালোবাসা। আর তারপর বাকিটা ইতিহাস। চার বছর সম্পর্কে থাকার পর ১৯৬৯-তে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শর্মিলা ঠাকুর এবং টাইগার পতৌদি।
একজন নবাবি ঘরানার মানুষ। অন্যজন বাঙালি ঐতিহ্য-সংস্কৃতির মানুষ। শোনা যায়, সেই সময় নাকি অনেকেই ভেবেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর এবং মনসুর আলি খান পতৌদির সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হবে না। কিন্তু সমস্ত জল্পনাকে মিথ্যে প্রমাণ করে আজও অনুরাগীদের মনে থেকে গিয়েছে তাঁর প্রেমকাহিনী। এক সাক্ষাৎকারে শর্মিলা ঠাকুর বলেছিলেন, 'যখন আমরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই, তখন আমরা এটাও জানতাম না যে এই সম্পর্ককে কী বলব? 'ধর্মনিরপেক্ষ' নাকি 'সাম্প্রদায়িক'। কারণ এই সমস্ত কিছু আমাদের মনেই আসেনি। একসঙ্গে জীবন কাটানোর স্বপ্নেই কাটিয়েছি বছরের পর বছর।'