কলকাতা:  তাঁর ব্যক্তিগত জীবন খোলা খাতার মতো। সম্পর্কে জড়াতে যেমন কখনও তিনি তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে ভয় পাননি, তেমনই বিচ্ছেদ নিয়েও তিনি কখনও লুকোচুরি করতে চাননি। তাঁর জীবনে একাধিক প্রেম এসেছে। একাধিকবার সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি, আবদ্ধ হয়েছেন বিবাহ বন্ধনেও। তবে তাঁর কোনও বিবাহবন্ধনই স্থায়ী হয়নি। তীক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে বারে বারে ভেঙে গিয়েছে বিয়ে। তবে, তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক আদালত অবধি গড়িয়েছিল তাঁর শেষ বৈবাহিক সম্পর্কে। আদালতে একে অপরের বিরুদ্ধে লম্বা কেস চলছিল, তবে এবার, সমস্ত অভিযোগ তুলে নিলেন রাখী সবন্ত (Rakha Sawant) আর তাঁর প্রাক্তন স্বামী আদিল খান (Aadil Khan)।

Continues below advertisement

সম্প্রতি বোম্বে হাইকোর্ট, রাখী এবং আদিলের একে অপরের বিরুদ্ধে করা যাবতীয় FIR খারিজ বলে ঘোষণা করেছে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, এই দুই পক্ষই নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নিয়েছেন। তাঁরা আর আদালতের কেস ও টানতে চান না। নিজেদের মতো করেই জীবন কাটাতে চান তাঁরা। আর সেই কারণেই এই যাবতীয় অভিযোগ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত।

২০২২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী রাখী সবন্ত ও ব্যবসায়ী আদিল খান। নিজেদের বিবাহের কথা প্রথমের দিকে গোপন রাখলেও, সম্পর্কের কথা তাঁরা গোপন রাখেননি কখনোই। আদিল রাখীর থেকে বয়সে অনেকটাই ছোট। তবে তাঁদের রসায়ন ছিল দেখার মতো। হাত ধরে পাপারাৎজিদের ক্যামেরার সামনে উপস্থিত হতেন রাখী আর আদিল। সেই সময়ে আদিল রাখীকে অনেক দামি দামি উপহার ও দিয়েছেন পাপারাৎজিদের সামনে। এরপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাখীই প্রথম প্রকাশ করেন যে তাঁদের আইনত বিবাহ হয়ে গিয়েছে। 

Continues below advertisement

তবে বিয়ের পর থেকেই বদলে যায় ছবিটা। রাখী বারে বারে অভিযোগ করেন, আদিল নাকি তাঁর ওপর বিভিন্ন অত্যাচার করছেন। গার্হস্থ্য হিংসা থেকে শুরু করে, সন্তান নষ্ট করে দেওয়া, টাকা চুরি করার মতো গুরুতর সব অভিযোগ আনেন রাখী। পাল্টা একাধিক অভিযোগ করেন আদিল ও। এই পরিস্থিতিতে, ওশিয়ারা পুলিশ, রাখীর অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭, ৩২৩, ৪০৬, ৪৯৮A, ৫০৪, ৫০৬ এই ধারাগুলিতে FIR দায়ের করে। অন্যদিকে আম্বোলি পুলিশ স্টেশনে, রাখীর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন আদিল খানও।

এরপরে, ২০২৩ সাল থেকে তাঁদের মধ্যে মামলা চলছিল। অক্টোবরে রায়দানের পরে দুই পক্ষই ঠিক করেন, তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে আর আদালতে মামলা লড়বেন না। সেই কারণেই যাবতীয় অভিযোগ বাতিল ঘোষণা করল আদালত।