মুম্বই : অভিনয় দক্ষতা এবং নৃত্যশৈলী ছাড়াও সৌন্দর্য, এনার্জি এবং আকর্ষণে নতুন প্রজন্মের যেকোনও বলি অভিনেত্রীকে অনায়াসে পিছনে ফেলে দিতে পারেন বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী (Hema Malini)। আজ তাঁর জন্মদিন। সত্তর এবং আশির দশকে রুপোলি পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করতেন। দর্শকরাও তাঁকে তাঁর অভিনয় দক্ষতার জন্য প্রশংসায় ভরয়ে রাখেন। সেই হেমা মালিনী নিজের ব্যক্তিগিত জীবন নিয়ে কথা বললেন। 


আরও পড়ুন - বিদ্যুৎ জামওয়ালের চিয়ারলিডার হলেন অক্ষয় কুমার! ব্যাপারটা কী?


বলিউড সুপারস্টার ধর্মেন্দ্রর জীবনে স্ত্রী হিসেবে হেমা মালিনীই একা নন। তাঁর আগে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। দুজনের সন্তানও রয়েছে। সানি দেওল এবং ববি দেওলও বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক হেমা মালিনীর? নিজের বায়োগ্রাফি 'হেমা মালিনী - দ্য ড্রিম গার্ল'-এ তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন, তা জানা গিয়েছে। হেমা মালিনীর বায়োগ্রাফিটি লিখেছেন লেখর রাম কমল মুখোপাধ্যায়। বায়োগ্রাফিতে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর বিয়ে, প্রকাশ কৌরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অকপট হেমা মালিনী। জানিয়েছেন, তিনি কখনওই ধর্মেন্দ্রর 'অন্য পরিবার'-এ নাক গলাননি। এমনকি তাঁদের বাড়িও যাননি। কারণ, তিনি তাঁদের বিরক্ত করতে চাননি।


আরও পড়ুন - Sooryavanshi Release Date: অক্ষয়-অজয়-রণবীরের 'সূর্যবংশী'-র মুক্তির দিন প্রকাশ, জেনে নিন তারিখ


বায়োগ্রাফিতে হেমা মালিনী জানিয়েছেন, অনেক সামাজিক উৎসব অনুষ্ঠানে ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ের পর আর তাঁদের কখনও দেখা হয়নি। একটি সাক্ষাৎকারে 'বাগবান' অভিনেত্রী বলছেন, 'আমি কাউকে বিরক্ত করতে চাই না। ধর্মেন্দ্র জি আমার জন্য, আমার মেয়েদের জন্য যা করেছেন, তাতে আমি খুবই খুশি। অন্যান্য বাবাদের মতো আমার সন্তানদের বাবার ভূমিকা পালন করেছেন। আমার মনে হয় আমি এতেই খুশি।'


তিনি আরও বলেন, 'আজকের দিনেও আমি একজন কর্মরত মহিলা। আর নিজের সম্মান আমাকে বজায় রাখতে হয়। কারণ, শিল্প এবং কলার কাছে আমি নিজেকে সমর্পন করে দিয়েছি। আমি কখনওই প্রকাশের সঙ্গে কথা বলিনি। আমি ওঁকে সম্মান করি। গোটা দুনিয়া আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্ক জানতে চায়। কিন্তু কেউই সম্পূর্ণটা জেনে উঠতে পারবেন না।'


ধর্মেন্দ্রর মায়ের সঙ্গে দেখা হওয়া প্রসঙ্গে হেমা মালিনী বলছেন, 'ধরম জির মা-ও একইরকম দয়ালু মনের মানুষ। আমার মনে আছে, একবার আমি জুহুর স্টুডিওতে ডাবিং করছি, তখন তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। এরপর যখন এষা আমার জীবনে আসছে, সেই সময়ে কাউকে না জানিয়ে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেন। আমি ওঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি। তিনি তখন আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, সবসময় খুশি থাকতে। তাই ওঁরা আমাকে নিয়ে যেভাবে খুশি থাকতে চান, আমিও তাতেই খুশি।'