Entertainment News: ‘পবিত্র রিশতা’ ধারাবাহিকের হাত ধরেই বিপুল জনপ্রিয় হয়েছিলেন অভিনেত্রী উষা নাদকার্নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে বিগত ৪০ বছর ধরে তিনি একাই থাকেন। মরাঠি থিয়েটারে বেশ কয়েক দশক অভিনয় করেছেন তিনি। ‘মাস্টারশেফ’ শো-তেও তাঁকে দেখা গিয়েছে সম্প্রতি। একটি সাক্ষাৎকারে এসে উষা নাদকার্নি জানিয়েছেন যে তাঁর ছেলেও তাঁকে মা বলে মানতে চান না।

৪০ বছর ধরেই একা থাকেন উষা নাদকার্নি

পিঙ্কভিলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে উষা নাদকার্নি বলেন যে তিনি একাই থাকেন। নিজেই ঘুম থেকে ওঠেন এবং তারপর নিজের জন্য কিছু খাবার বানান। তারপরে তিনি প্রার্থনা করেন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ মোবাইল স্ক্রলিং করেন এবং আরাম করে সময় কাটান। ফোনে কথা বলেন, নাতনিকে ভিডিয়ো কল করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এই সাক্ষাৎকারে যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে একাকিত্ব তাঁকে কষ্ট দেয় কিনা, তিনি উত্তরে বলেন, ‘আমি এতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। আমি ১৯৮৭ সাল থেকেই একা থাকি। আমার মোটেও ভয় লাগে না। যখন আমি প্রথম আমার বাড়িতে আসি, তখন আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’

তাঁর কথায়, ‘আমি আগে গার্ডকে দরজা পর্যন্ত আমার সঙ্গে হেঁটে নিয়ে যেতে বলতাম। আমার ভয় হত কেউ আমাকে পিছন থেকে আক্রমণ করবে। কিন্তু এখন আমি ভয় পাই না। মানুষ জানে না যে সে কীভাবে মারা যাবে। কেউ ঘুমের মধ্যেই মারা যায়, কেউ হাসপাতালে মারা যায়। আমি যদি ঘুমের মধ্যেও মারা যাই, আমি মোটেও ভয় পাই না। আমার প্রতিবেশিরা হয়ত এসে দরজাতে কড়া নাড়বে, ভাববে যে বৃদ্ধা দরজা খোলেনি’।

ছেলে উষা নাদকার্নিকে মা হিসেবে মানে না

উষা নাদকার্নি এই সাক্ষাৎকারেই জানান যে তাঁর সমস্ত ভাইবোন মারা গিয়েছেন। তাঁর ভাই কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা চিন্তা করে তাঁর চোখ ভিজে ওঠে। উষা নাদকার্নি বলেন যে সেই ভাই তাঁর থেকে ৫ বছরের ছোট ছিল। কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে তাঁর মা ছেলেকে লালন-পালন করে বড় করে তুলেছেন বলে জানান উষা নাদকার্নি। তিনি বলেন, ‘আমি যখনই সময় পেতাম তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। কোনও নির্দিষ্ট সময়সূচি ছিল না। মরাঠি নাটকগুলি আমার পুরো সময় দখল করে নিত। একদিনে অনেকগুলি নাটক হত। আমার ছেলে এখনও আমাকে বলে যে আমি কেবল তাঁকে জন্মই দিয়েছি, তাঁর আসল মা নাকি আমার মা অর্থাৎ তাঁর দিদা’।

সম্প্রতি অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডের সঙ্গে আলাপচারিতায় ‘পবিত্র রিশতা’ অভিনেত্রী উষা নাদকার্নি জানান, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ভয়ও তাঁর মনে চেপে বসেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বাড়িতে একা। আমার ভয় হচ্ছে আমি পড়ে যাব। কেউ জানতেও পারবে না। আমার ভাই গত বছরের ৩০ জুন মারা গিয়েছে। যদি সে জানত আমি কোন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি তাহলে সে দৌড়ে আসত, এখন আমি কাকে বলব ?’