কলকাতা: বুধবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দেওয়া খতিয়ান অনুযায়ী এবছর পাসের হারে রেকর্ড করেছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ৮৫ শতাংশের ওপরে পড়ুয়া মাধ্যমিক পাস করেছে। ১০ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৬ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৮৯.৮৭ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ৮৩.৪৮ শতাংশ। ৬৯৪ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কাটোয়ার বিদ্যাসাগর মেমরিয়াল ইনস্টিটিউটের অরিত্র পাল। এদিকে কালই দশমের ফল প্রকাশ করে সিবিএসই-ও। দেখা যায় বিগত বছরের তুলনায় ফল খারাপ হয়েছে এবারের শিক্ষার্থীদের। পাসের হার বাড়লেও ৯৫ শতাংশের ওপর নম্বর পাওয়া কৃতীদের সংখ্যা কমেছে। বোর্ডের ফল অনুযায়ী সাফল্যের শীর্ষে ত্রিবান্দ্রম (৯৯.৩%), চেন্নাই (৯৮.৯%), বেঙ্গালুরু (৯৮.২%)।


দশমের ফল প্রকাশের পর কৃতীদের অভিনন্দ ও শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা আর মাধবন। যারা আশানুরূপ ফল করেছেন তাদের প্রত্যেকের উদ্দেশেই বলি অভিনেতার বার্তা, “তোমরা যারা প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গিয়েছ, সকলকে আমার অভিনন্দন।” এখানেই শেষ নয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে যে পরীক্ষার্থীরা আশাহত হয়েছে, তাদের উদ্দেশে আশার বাণীও শুনিয়েছেন ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর ফরহান। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, “বোর্ডের পরীক্ষায় আমি ৫৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলাম। মাথায় রেখো প্রিয় বন্ধুরা, খেলা এখনও শুরুই হয়নি।”





প্রসঙ্গত, মাধবনের জন্ম জামশেদপুরে। বাবা ছিলেন টাটা স্টিলের শীর্ষ পদাধিকারী। মা ছিলেন  ব্যাঙ্ক আধিকারিক। বিহারে বড় হলেও তামিলের তালিমে কোনও অসুবিধা হয়নি তাঁর। পরবর্তীতে ইলেকট্রনিক্স নিয়ে পড়াশুনা করেন মাধবন। সংস্কৃতি মনস্ক মাধবন সর্বপ্রথম একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। তারপর ‘বনেগি আপনি বাত’, ‘ঘর জামাই’-এর মতো ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। ১৯৯৭ সালে হলিউড ছবি ‘ইনফার্নো’-তে অভিনয় করেন মাধবন। এরপর কন্নড় ছবি তো বটেই মনিরত্নম পরিচালিত তামিল ছবিতও মুখ্য চরিত্রে সুযোগ পান বিএসসি-র এই পড়ুয়া।


২০০১ সালে ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল ম্যায়’ দিয়ে বলিউড অভিষেক হয় তাঁর। এখন মাধবনের ঝুলিতে রয়েছে চারটি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড (দক্ষিণ), তিনটি তামিলনাড়ু স্টেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড।