নয়াদিল্লি: ৩৩ বছরে পদার্পণ করলেন অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। ২০১১ সালে অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি। যদি একটু খুঁটিয়ে দেখা যায় তাহলে বোঝা যাবে বিভিন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে ভালবাসেন তিনি। তাঁর কেরিয়ারের শুরুর দিকে তাঁকে সাধারণ মেয়ের চরিত্রে দেখা গেছিল। যেমন, 'লেডিজ ভার্সেস রিকি বেহল', 'ইশকজাদে', 'শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স' ছবিগুলি। এরপর বিভিন্ন কমেডি ছবি যেমন, 'গোলমাল এগেন', 'জবরিয়া জোড়ি' ইত্যাদিতে অভিনয় করতে  দেখা গেছে তাঁকে। ২০২১ সালেই তিনি তিনটি তিন ধরনের ছবিতে কাজ করেছেন। 'দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন', 'সন্দিপ ঔর পিঙ্কি ফেরার' এবং 'সাইনা'। প্রত্যেকটি ছবিতেই বজায় রেখেছেন সাতন্ত্র। 


কিন্তু জানেন কি, অফস্ক্রিন-অনস্ক্রিন উভয় জায়গাতেই আত্মবিশ্বাসী এই অভিনেত্রী আদৌ কখনও অভিনয় জগতে পা রাখার কথা চিন্তাই করেননি! বরং ম্যাঞ্চেস্টার বিজনেস স্কুল থেকে বিজনেস, ফাইন্যান্স ও ইকোনমিক্সে তিনটি স্নাতক ডিগ্রিধারী পরিণীতি লন্ডনে বড়সড় চাকরিই করতে পারতেন।


'আমি আজীবন একজন ব্যাঙ্কার হতে চেয়েছিলাম। আমি সেই নিয়েই পড়াশোনা করেছি, আমি ইংল্যান্ডে পড়াশোনার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলাম এবং আমার কাঁধে তখন লোনের বোঝা। যখন চাকরি খুঁজে পাচ্ছিলাম না তখন হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েই মুম্বইয়ের টিকিট কেটে ফেলি... এবং এই শহরের টিকিট কাটার একমাত্র কারণ দিল্লি যাওয়ার টিকিটের থেকে এর দাম সস্তা ছিল,' এক সাক্ষাৎকারে জানান অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। 


মুম্বই পৌঁছে যশ রাজ স্টুডিওসের অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টে চাকরির আবেদন করেন তিনি। কিন্তু কোনও স্থান খালি না থাকায় মার্কেটিং ও পিআর ডিপার্টমেন্টে ইন্টার্নশিপ অফার করা হয় তাঁকে। সেই সুযোগ লুফে নেন পরিণীতি। এই সময়েই ছবি তৈরি ও অভিনয়ের শিক্ষা পান তিনি। YRF-এর অফিসেই প্রথম পরিচালক মণীশ শর্মা তাঁকে দেখেন ও 'লেডিজ ভার্সেস রিকি বেহল'-এ তাঁকে কাস্ট করেন।


কোনও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি অভিনয় করতে এতটুকু পিছপা হননি। অভিনেত্রীর কথায়, তাঁর মনে হয়েছিল যেন বহুকাল এই কাজ করছেন তিনি। প্রথম শটের কথা মনে করে অভিনেত্রী বলেন, 'মণীশ বলেন 'অ্যাকশন', আমি শট দিলাম আর তিনি বললেন 'কাট'। আর সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হল যে আমি এটা করতে পারব। মনে হচ্ছিল এটা আমার ত্রিশতম ছবি। হয়তো আমি এতই উত্তেজিত ছিলাম যে বাকি কোনও অনুভূতি কাজই করছিল না।'


পরিণীতি চোপড়া এও জানান, যে তাঁর কোনও 'রোল মডেল' ছিল না কোনওদিন। পরিচালকদেরই একাধিক প্রশ্ন করে নিজের কাজ আরও ভাল করার চেষ্টাস করেন তিনি। 'আমি একটু আলাদা অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি। তাই বেশি প্রশ্ন করলে আমার কাজ করতে সুবিধে হয় কারণ একবার আমার কাছে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেলে শট দিতে সুবিধে হয়।'