কলকাতা: খাপছাড়া করে কাটা ছোট চুল, মুখে মেক আপ তো নেইই, বরং বেশ অবিন্যস্ত সাজসজ্জা.. ট্রেলারে তাঁর এই লুক দেখে বেশ চমকে উঠেছিলেন অনেকেই। একই ছবিতে, একই সময়ে দুটি বয়স ফুটিয়ে তুলতে হয়েছিল তাঁকে। একটা ১২-১৩ বছরের কিশোরী, আরেকটা ৩০-৩৫ বছরের এক যুবতী। মানসিক আর শারীরিক বয়স আলাদা এমন চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চ্য়ালেঞ্জই অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের (Arpita Chatterjee) দিকে ছুড়ে দিয়েছিল 'হৃদপিণ্ড'। 


সামনেই মুক্তি পাচ্ছে শিলাদিত্য মৌলিক পরিচালিত ছবি 'হৃদপিণ্ড'। সেই ছবির কেন্দ্রীয় নারীচরিত্রে রয়েছেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। অপর দুই চরিত্রে রয়েছেন সাহেব চট্টোপাধ্যায় (Shaheb Chatterjee) ও প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Prantik Banerjee)। পোস্টারেই নজর কেড়েছিল অর্পিতার লুক। পর্দায় তাঁর নাম আর্যা। এই চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে অর্পিতাকে কতটা ভাঙাগড়া করতে হয়েছে?


আরও পড়ুন: Saswata on Feluda: 'সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বাদ দিলে আমার চোখে সেরা ফেলুদা সব্যসাচী চক্রবর্তী'


এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে পর্দার আর্যা বললেন, 'লুক সেট যেদিন হল, সেদিনই নিজেকে দেখে ভীষণ উত্তেজিত হয়েছিলাম। ছোট চুলে আমার যে লুকটা পোস্টারে রয়েছে, তাতে কোনও মেক আপ নেই। এই ছবিটার জন্য আমায় বেশ কিছুটা ওজন কমাতে হয়েছিল। তার জন্য নিয়মিত জিমে গিয়ে শরীরচর্চা, বিশেষ ডায়েট মেনে চলতে হয়েছিল। প্রায় ২ মাস ধরে এই চেহারা ভাঙার কাজটা তলে। তারপর লুক সেট হয়।'


একই সময় দুটি বয়সের চরিত্রের অভিনয় করতে হয়েছে তাঁকে। অর্পিতা বলছেন, 'গোটা ছবির মধ্যে ওটাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল। শ্যুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল আমার পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ডাবিং করতে এসে দেখলাম, পরীক্ষার অনেক বাকি। ১২ বছরের মেয়ে যেভাবে কথা বলবে, ৩৫ বছরের যুবতী সেভাবে কথা বলবে না। পরিচালকের সঙ্গে সেটা নিয়ে আলোচনা.. পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলত। সেই পরীক্ষায় পাশ করেছিল কি না তা ছবি দেখে দর্শকরা বিচার করবেন'।