মুম্বই:সম্প্রতি চড়া মেক আপের ছবি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন রানু মন্ডল। নদিয়ার রানাঘাট স্টেশনে লতা মঙ্গেশকরের গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের আলোয় উঠে এসেছিলেন রানু মন্ডল। তাঁর গানের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় এবং রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান তিনি। এই খ্যাতির সুবাদে বলিউডেও পৌঁছে গিয়েছেন রানু মন্ডল। হিমেশ রেশমিয়া তাঁর সিনেমার জন্য রানুকে দিয়ে তিনটি গান গাইয়েছেন। খ্যাতির পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে বিতর্কের মুখেও পড়েছেন রানু মন্ডল। কিছুদিন আগে এক সেলফি প্রত্যাশীর সঙ্গে রূঢ় আচরণের অভিযোগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। এরপর চড়া মেক আপ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশ তাঁকে নির্মমভাবে ট্রোল করেছে। এভাবে রানুকে ট্রোল করা এবং মিম তৈরি করে বিদ্রুপের ঘটনায় ক্ষুব্ধ তাঁর মেয়ে এলিজাবেথ সাথী রায়। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে রানু মন্ডলকে অত্যন্ত চড়া মেক আপে দেখা গিয়েছিল।যদিও যে বিউটি পার্লারে রানু মন্ডলের মেক আপ করা হয়েছিল, তাদের পক্ষ থেকে ওই ছবিকে ভুয়ো বলে দাবি করা হয়। এই ছবি নিয়ে তাঁর মাকে কটাক্ষ করায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত বলে জানিয়েছেন সাথী। তিনি বলেছেন, ‘এটা সত্যি যে, মায়ের সবসময়ই মানসিকতা সমস্যা ছিল। এই কারণে বেশ কয়েকবারই তাকে ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। কিন্তু যে মানুষটা সারাজীবন এত লড়াই করেছে এবং শেষপর্যন্ত সাফল্যের স্বাদ পেতে শুরু করেছে, তাকে এভাবে ট্রোল করাটা খুবই দুঃখজনক’।
তাঁর মাকে যেভাবে মার্জার সরণীতে হাঁটানো হয়েছে, তাতেও সায় নেই সাথীর। তিনি বলেছেন, ‘তাকে মার্জার সরণীতে হাঁটানোর প্রয়োজন কী ছিল?ওরা এসব করছে কেন? মা তো গায়িকা, মডেল নয়। লোকজন তাকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করছে, এটা খুবই সস্তার। মায়ের সম্পর্কে এ সব বলাটা একেবারেই ঠিক নয়। সে অভিজাত পরিবারের নয়। আর্থিক দিক থেকে একেবারে অনগ্রসর পরিবারে থেকে এসেছে। বলিউডের গ্ল্যামার জগতের জন্য নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ কখনও আমার মা পায়নি। সে রাস্তায় গান করত এবং আচমকাই খ্যাতি পেয়েছে। নিজের লুক বদল বা প্রতিভার মাজাঘষা করার সুযোগও সে কখনও পায়নি’।
সাথী বলেছেন, ‘এ ধরনের ট্রোলিংয়ের একটা কারণ আছে বলে মনে করি। সম্প্রতি একজন মায়ের সঙ্গে সেলফি তুলতে চেয়েছিল। মা তাকে স্পর্শ না করতে বলেছিল। এই ব্যবহার অনেককেই ক্ষুব্ধ করেছে। কারণ, সাধারণ মানুষই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে তাকে পরিচিত করে তুলেছেন। হয়ত ট্রোল করে এবং মিম তৈরি করে তাঁরা তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন'।
তবে নেতিবাচকতা ও ট্রোলিং সত্ত্বেও মানুষ রানু মন্ডলকে তাঁর গানের জন্য ভালোবাসবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সাথী।