Tota Roy Chowdhury: আবুধাবিতে আয়োজন করা হয়েছিল জাঁকজমকপূর্ণ এই IIFA অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। আর বলিউডের সমস্ত বাঘা বাঘা কলাকুশলীদের পাশে এদিন হাজির হয়েছিলেন টলিউডের খ্যাতনামা শিল্পী টোটা রায়চৌধুরীও (Tota Roy Chowdhury)। 'রকি অউর রানি' ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা সহ-অভিনেতা হিসেবে তাঁর মনোনয়ন ছিল। আর তাই ববি দেওল, অনিল কপূরদের সঙ্গে তিনিও এদিন হাজির হয়েছিলেন IIFA-র মঞ্চে। সেরা সহ অভিনেতার (IIFA Awards 2024) পুরস্কার না পেলেও এদিনের এক অনন্য অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে। সেখানে এক দীর্ঘ পোস্টে তুলে এনেছেন বাংলা ছবির হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত। কী লিখলেন তিনি ?


সেই পোস্টে টোটা লেখেন যে, প্রেস কর্নারে এক সাংবাদিক টোটাকে প্রশ্ন করেন যে একসময় হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিকে পথনির্দেশিকা দিয়েছিল বাঙালিরাই, তবে এখন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সদস্য হিসেবে তাঁর কি এখন আফশোস হয় ? বাংলা ছবি নিয়ে কেন কোনও IIFA Awards হয় না তা নিয়ে কী ভাবেন তিনি ? সামনে উপস্থিত প্রায় জনা পঞ্চাশেক সাংবাদিকের সামনে ঠান্ডা মাথায় উত্তর দেন টোটা 'তাঁদের অগ্রগতি আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সবাই মিলে প্রচেষ্টা করব যাতে হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করা যায়।' কিন্তু সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণকে মালা পরালেও এই চিন্তা থেকে বেরোতে পারেননি টোটা।



তিনি স্পষ্টই লেখেন যে সেদিন রাতে খাবার পর পায়চারি করতে করতে এই প্রশ্নটাই তাঁকে ভাবিয়ে তোলে। তাঁর কথায়, 'একটা সময় আমরাই পথপ্রদর্শক ছিলাম। রায়, সেন, ঘটকদের কথা ছেড়েই দিলাম। অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘নিশিপদ্ম’ (অমর প্রেম) বা ‘অগ্রদূত’-এর ‘ছদ্মবেশী’র (চুপকে চুপকে ) মতো অনেক বাংলা ছবির হিন্দি রিমেক এক সময়ে ভারত কাঁপিয়ে ব্যবসা করেছে। এক দশক আগেও ঋতুপর্ণ ঘোষের, ছবিগুলো বহু ভাষাভাষীর দর্শক দেখতেন এবং সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতেন। কোথায় আমাদের ত্রুটিবিচ্যুতি হল বা কী করলে পূর্বস্থান পুনর্দখল করতে পারি, তা নিয়ে আত্মবিশ্লেষণ ও আত্মসমালোচনার আশু প্রয়োজন। কবে ঘি খেয়েছি বা ঘি-চপচপে পোলাও বিতরণ করেছি, সেটা বারংবার বমন করে বাকিদের বিরক্তির ও করুণার পাত্র হয়ে এক ইঞ্চিও অগ্রগতি হবে না।'


সবশেষে দীর্ঘ পোস্টের অন্তিমে এসে টোটা একথা উল্লেখ করতে ভোলেন না যে, ' আমাদের পূর্বসূরিদের হয়তো তাঁদের কিছু উত্তরসূরিদের মত জার্মান গাড়ি, সুইস ঘড়ি, ফ্রেঞ্চ পারফিউম, ইটালিয়ান স্যুট, গ্রীক ভেকেশন, বহুতলে দক্ষিণখোলা ছিল না কিন্তু মনখোলা, প্রাণখোলা ছিল বলে মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করতেন, আর তাই আমরা তাঁদের মনেপ্রাণে স্থান দিয়েছি।'


আরও পড়ুন: Aparna Sen: '...ইন্ডাস্ট্রির ফেডারেশনের সভাপতি কীভাবে ?', শাসক-ঘনিষ্ঠ স্বরূপকে ঘিরে প্রশ্নবাণ অপর্ণার