মুম্বই: সঙ্গীতের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো 'ইন্ডিয়ান আইডল ১২'-এর সেমি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে রবিবার, ৮ অগাস্ট। অনুষ্ঠানের শেষ ছয় প্রতিযোগী হলেন পবনদীপ রাজন, অরুনিতা কাঞ্জিলাল, সন্মুখাপ্রিয়া, নীহাল তাউড়া, মহম্মদ দানিশ এবং সায়লি কাম্বলে। প্রত্যেকের দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে যান বিচারকেরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন পরিচালক কর্ণ জোহর। তিনি প্রত্যেকে ট্যালেন্ট দেখে একপ্রকার বাকরুদ্ধ হয়ে গেছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই কর্ণ জোহরের ব্লকবাস্টার হিট ছবির গান গেয়ে শোনান তাঁকে। মুগ্ধ পরিচালক প্রত্যেক প্রতিযোগীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। শো চলাকালীন তাঁর ছবির বিভিন্ন মজার মুহূর্তও ভাগ করে নিচ্ছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে বেশ জমজমাট ছিল সেমি ফাইনাল পর্ব।
শোয়ের শেষ মুহূর্তে এসে টানটান উত্তেজনা। সকলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স হলেও এই সেমি ফাইনালের মঞ্চ থেকে কাকে বিদায় নিতে হয় কে জানে! কিন্তু অবশেষে সেরকম কিছুই ঘটেনি। 'এলিমিনেশন' পর্বই হয়নি সেমি ফাইনালে। ঠিক যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে প্রত্যেক প্রতিযোগী। অর্থাৎ গ্র্যান্ড ফাইনালে পর্বে এই ছয় জন প্রতিযোগীই অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত ১৫ অগাস্ট, টানা ১২ ঘণ্টা ধরে।
'ইন্ডিয়ান আইডল ১২'-এর সেমি ফাইনাল পর্বে পবনদীপের গলায় 'চন্না মেরেয়া' গানটি শুনে সকলেই ইমোশনাল হয়ে পড়েন। কর্ণ জোহরের অপর আইকনিক ছবি 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' থেকে 'লড়কি বড়ি অনজানি হ্যায়' এবং 'কোই মিল গয়া' গানে মন ভোলান নীহাল। এছাড়া অরুনিতা গেয়ে শোনান 'কভি খুশি কভি গম', মহম্মদ দানিশ শোনান 'মাই নেম ইজ খান' ছবির বিখ্যাত 'সজদা' গানটি। সন্মুখাপ্রিয়ার গলায় 'কুরবান হুয়া' শুনে আপ্লুত কর্ণ। অন্যদিকে সায়লি গেয়ে শোনান বিখ্যাত 'বোলে চুড়িয়া' গানটি।
এখানেই শেষ নয়। সন্মুখাপ্রিয়া সম্প্রতি অনলাইন ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন। তাঁর জন্য কর্ণের উপদেশ, ওসবে কান না দিয়ে, গানে ফোকাস করা উচিত। এমনকী পবনদীপ ও অরুনিতাকে 'ধর্ম প্রোডাকশন' পরিবারেও স্বাগত জানান পরিচালক। তাঁদের হাতে চিঠি দিয়ে নিজের ছবিতে গান গাওয়ার অফার দেন কর্ণ জোহর। এখন দেখার সেমি ফাইনালে এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর সেরার শিরোপা কার মাথায় ওঠে।