কলকাতা: স্বপ্নের চরিত্র এবার দর্শকদের দরবারে। সারাদিন পেরিয়ে গলাটা যেন সামান্য ক্লান্তই শোনাল নতুন ফেলুদার। কিন্তু তাতে তৃপ্তি আর খুশির ছোঁয়া। সন্দীপ রায়ের কাছে নিজে অভিনয়ের সুযোগ চাইতে গিয়েছিলেন যিনি, সেই থেকে আজ বড়পর্দায় নিজেকে ফেলুদা হিসেবে দেখা.. পরিচালকের সঙ্গে হল ভিজিট.. আজ রাতের ঘুমটা বোধহয় বড় তৃপ্তির ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের (Indranil Sengupta) কাছে।


প্রিমিয়ার, তারপর ছবির মুক্তি। দর্শকদের চোখে ফেলুদা হয়ে ওঠা কেমন ছিল? ফোনের ওপার থেকে এবিপি লাইভকে ইন্দ্রনীল বললেন, 'দর্শকেরা নতুন ফেলুদাকে ভালবাসছেন। সবাই বলেন, ফেলুদা আট থেকে আশির। আজ আমি সত্যিই তাই দেখলাম। ছোট থেকে বড়, সব বয়সের দর্শকেরাই এসেছিলেন। প্রশংসা পেয়েছি, তবে নিজের মুখে তা বলতে চাই না। কয়েকজন বাচ্চা দেখি ইন্টারভ্যালে হাঁ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওরা যেন ফেলুদাকে দেখছে। কয়েকজন মধ্যবয়স্ক মহিলা বললেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরে নাকি আমাকেই ফেলুদা হিসেবে ভাল লাগল। এটা আমার কাছে বিশাল প্রাপ্তি।'                                                                                                       


আরও পড়ুন: Haami 2 Premier: স্কুলের পোশাকে গার্গী-শিবপ্রসাদ, 'হামি ২'-র প্রিমিয়ার যেন স্কুলজীবনে ফিরে যাওয়া


নতুন ফেলুদাকে কী বললেন স্বয়ং পরিচালক? ইন্দ্রনীল বললেন, 'বাবুদা আগেই আমায় বলেছিলেন, উনি আমার কাস্টিং নিয়ে খুব খুশি। আজ দর্শকেরা শুধু চরিত্রায়ণ নয়, সিনেমা হিসেবেও কাজটার প্রশংসা করেছেন। বাবুদা ভীষণ খুশি।'                                         


দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় ছোটদের আবেগ রয়েছে, উচ্ছ্বাস রয়েছে। কিন্তু বাড়ির খুদে? মেয়ে মীরা? বাবাকে ফেলুদা হিসেবে দেখে সে কী বলল? ইন্দ্রনীল বললেন, বাবা, মা, মীরা সবাই তো মুম্বইতে থাকে। ওখানে ছবি মুক্তি না হলে দেখতে পারবে না। তবে মীরা তো ঠিক বাংলা বোঝে না। ও আরও একটু বড় হোক। এটাই আমার শেষ ফেলুদা নয়। মীরা বড় হোক, আমি আমার মেয়ের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকব।'