নয়া দিল্লি : ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় সাক্ষী হিসেবে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে ডেকে পাঠাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার এমনই দাবি করলেন তাঁর মুখপাত্র। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, অভিনেত্রী এজেন্সির তদন্তে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করবেন।


এক বিবৃতিতে অভিনেত্রীর মুখপাত্র বলেন, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজনকে সাক্ষী হিসেবে ডাকছে ইডি। তিনি এর আগে বিবৃতি রেকর্ড করেছেন। আগামীদিনেও এজেন্সির সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। এমনকী এই মামলায় জড়িত দম্পতির সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন জ্যাকলিন। 


সুকেশ চন্দ্রশেখর ও তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী লীনা মারিয়া পলের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরুপ মামলায় গত বুধবার অভিনেত্রীর বিবৃতি রেকর্ড করা হয়। এর আগে অগাস্ট মাসেও তাঁর স্টেটমেন্ট রেকর্ড করা হয়েছিল। এই মামলায় গত সপ্তাহেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল অভিনেত্রী নোরা ফতেহিকেও।


সম্প্রতি নোরার মুখপাত্রের তরফেও এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল, কোনও আর্থিক তছরুপে জড়িত নন নোরা ফতেহি। তিনি এই মামলার 'শিকার'। সংবাদমাধ্যমে যেসব অনুমান করা হচ্ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নোরা ফতেহি-র তরফে কয়েকটি বিষয় ব্যাখ্যা করতে চাই। এই মামলার শিকার নোরা ফতেহি। তিনি এক জন সাক্ষী হিসেবে সহযোগিতা করছেন। তদন্তে সাহায্য করছেন অফিসারদের। আমরা এটা পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই যে, তিনি কোনও আর্থিক তছরুপে জড়িত নন। অভিযুক্তকে ব্যক্তিগতভাবে তিনি চেনেন না বা কোনও যোগাযোগ নেই। তদন্তে সাহায্য করার জন্য তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।


চেন্নাই নিবাসী সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বছরে তাঁর থেকে ২০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই মামলাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। ইডি সূত্রে জানা যায়, সুকেশ চন্দ্রশেখর মামলায় জ্যাকলিন ছাড়াও নোরার যোগও সামনে আসছে। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে জ্যাকলিনের আগামী ছবি ভূত পুলিশের অন্যতম সহ অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতমকেও সমন পাঠিয়েছিল ইডি। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যাঙ্কে তাঁর আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতি পাওয়া যায় বলে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। ৩০ অগাস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা করা হয়েছিল জ্যাকলিনকে। জ্যাকলিন সুকেশ চন্দ্রশেখর ও স্ত্রীর দ্বারা প্রচুর অঙ্কের টাকা খুইয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। জ্যাকলিনের সঙ্গে কথা বলে ইডি-র হাতে এসেছে বহু জরুরি তথ্য ।