মুম্বই: অভিনেত্রী জিয়া খানকে খুন করা হয়নি, সোমবার বম্বে হাইকোর্টে জিয়া খান মৃত্যু মামলায় এই রিপোর্টই পেশ করেছে সিবিআই। এপ্রসঙ্গে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অনিল সিংহ বিচারপতি নরেশ পাটিল এবং প্রকাশ নায়েক-এর ডিভিশন বেঞ্চে জানান, সিবিআইয়ের কোনও কারণই নেই এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত সুরজ পাঞ্চোলিকে বাঁচানোর চেষ্টা করার।
হাইকোর্ট জানিয়েছে এই মামলা প্রসঙ্গে অগাস্টের ২৩ তারিখ রায় দেবে আদালত। ততদিন জিয়ার মা রাবিয়া খানের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত চলবে। রাবিয়া তাঁর দায়ের করা মামলায় দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়ে জিয়াকে খুন করা হয়েছে। তিনি চেয়েছিলেন এই মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হোক, এবং তাঁরাই এই মামলার তদন্ত করুক।


সিবিআই তাদের তদন্তে জানিয়েছে জিয়ার মৃত্যু কোনও হত্যা নয়, তিনি আত্মহত্যাই করেছিলেন। গলায় ওড়না দিয়ে ঝোলার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এপ্রসঙ্গে জিয়ার মায়ের যে দাবি ছিল, তা কার্যত মানতে নারাজ সিবিআই। রাবিয়ার দাবি ছিল, ওই ফ্ল্যাটে জানলা দিয়ে কেউ ঢুকেছিল, এবং তাঁর মেয়েকে হত্যা করে, গলায় ওড়না বেঁধে, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। এখানেই সিবিআইয়ের দাবি, বাইরে থেকে কারও ভিতরে আসার প্রমাণ এখানে পাওয়া যায়নি।

অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল তাদের তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে। এছাড়া সুরজের বিভিন্ন পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গেও কথা বলেছে, এবং বাড়ির পরিচারকের সঙ্গেও।

জিয়াকে ২০১৩ সালের ৩০ তাঁর বাড়ি তেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।