মুম্বই:  অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড়। ভারতীয় তদন্তকারীদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বললেন ব্রিটেনের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। ব্রিটেনের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞর দাবি, জিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও, সেটা সাজানো ছিল। এছাড়াও তাঁর গলায় ও মুখে যে ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল, তার থেকে প্রমাণিত এটা কোনও সাধারণ আত্মহত্যার ঘটনা নয়। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ জ্যাসন পাইন জেমস-এর এই দাবি তিন বছরের পুরনো এই মামলাকে নয়া প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল।


ব্রিটেনের এই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞকে অভিনেত্রী জিয়ার মা রাবিয়া নিয়োগ করেছিলেন। আগামীকাল বিশেষজ্ঞ-এর এই রিপোর্ট সেখানকার সিটি সেশন কোর্টে জমা দেবেন জিয়ার মা। তবে আদালত কতটা এই তদন্ত রিপোর্টকে গুরুত্ব দেবে, সেটা কালই বোঝা যাবে।
প্রসঙ্গত, জিয়ার মা রাবিয়া বিশেষজ্ঞ নিয়োগের সিদ্ধান্ত তখনই নেন, যখন মাসখানেক আগে সিবিআই বম্বে হাইকোর্টে এই মামলা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দেন। সেখানে বলা হয়, এই মৃত্যুর সঙ্গে খুনের কোনও সম্পর্ক নেই।

অভিনেত্রী জিয়া খান বলিউড অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলির সঙ্গে প্রেম করতেন। ২০১৩ সালে ৩ জুন জিয়াকে তাঁর জুহুর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন জিয়ার মা। এরপর রাবিয়া একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় দাবি করেন, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেননি। এই মর্মে বম্বে হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের করেন রাবিয়া। তবে ভারতীয় তদন্তকারীদের তদন্তের ধারায় খুশি ছিলেন না রাবিয়া।

এরপরই তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেন। সেই বিশেষজ্ঞ জিয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ, জিয়ার সেইমুহূর্তের ছবি ও ঘরের ছবি খতিয়ে দেখেন। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ব্রিটেনের এই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ভারতীয় তদন্তকারীদের থেকে সম্পূ্র্ণ ভিন্ন রিপোর্ট জমা দিলেন। এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে গোটা মামলাটি।