২০১৩ সালের জুনে জুহুর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে জিয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মেয়ের মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বলে সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশ থেকে প্রশাসন প্রায় সকলেরই দরজায় দরজায় ঘুরেছেন রাবেয়া। রাবেয়ার অভিযোগ ছিল, আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলি তাঁর মেয়ের মৃত্যুর সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে যুক্ত।
রাবেয়া তাঁর চিঠিতে আরও দাবি করেছেন, মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর থেকে তারা সবরকম উপায় তদন্ত প্রক্রিয়াটি যতটা ধীর গতিতে সম্ভব ততটা ধীর গতিতে চালাচ্ছে। এমনকি সেখানে তিনি ব্রিটিশ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ জ্যাসন পাইন জেমনসের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল জিয়ার দেহে যে আঘাত লেগেছিল, সেটা হয়তো বাইরের কোনও বস্তুর থেকে এসেছে।
এমনকি মামলাটিতে নজরদারি চালানোর জন্যে রাজ্য স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর দীনেশ তিওয়ারিকে নিয়োগ করলেও, সিবিআই তিওয়ারিকে সরিয়ে দেওয়ার সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাবেয়া। রাবেয়ার সন্দেহ আদিত্য পাঞ্চোলি তাঁর সবরকমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামলাটি ঘেঁটে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রসঙ্গত, জিয়ার যে বছর মৃত্যু হয়, সেবছর জুনের ১০ তারিখ সুরজকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও তারপর ২ জুলাই জামিনে মুক্তিও পেয়ে যান সুরজ।