কলকাতা: পাঁচতারা হোটেলের বসার ঘর। একটা দেওয়াল কাচের। ওপর থেকে দেখা যাচ্ছে শহর কলকাতার বেশ অনেকটা অংশ। কাচের দেওয়ালের দিকে পিছন ফিরে সোফার কুশনের ওপর গা এলিয়ে বসেছিলেন তিনি। হালকা গোলাপি টি শার্ট, রিপট জিনসের সঙ্গে পায়ে ফ্লুরোসেন্ট সবুজ জুতো। ক্যামেরা ফিট করার সময়টুকু চেয়ে নিতেই সহকারীদের সঙ্গে দু-একটা জরুরি বাক্যালাপ সেরে নিলেন তিনি। এবার শুরু করা যাক? আরও একটু আরাম করে বসে আর আরও একটু হেসে উত্তর দিলেন, 'অবশ্যই'। ক্যামেরা চালু করে দিলেন ওনারই সহকারী... ক্যামেরার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিতেই সেদিকে তাকিয়ে হাত জোড় করে নমস্কার করলেন যীশু সেনগুপ্ত (Jissu Sengupta)। শুরু হল 'অভিযান' (Abhijaan)।
আরও পড়ুন: 'আমার সঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের তুলনাই করা উচিত নয়'
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) পরিচালিত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) বায়োপিক 'অভিযান'। সেই ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বয়সকালের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি নিজে। আর অল্প বয়সের সৌমিত্র হয়েছেন যীশু সেনগুপ্ত। বাঙালির মজ্জায় মজ্জায় ঢুকে আছেন যে কিংবদন্তি, তাঁকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা নেহাৎ সোজা নয়। কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন যীশু? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা বললেন, 'আমি পরিস্থিতির মতো করে অভিনয় করি। অবশ্যই একটা চিত্রনাট্য থাকে। সেটা পড়ে নিজের মতো করে চরিত্রটাকে সাজিয়ে নিই মনে মনে। তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় করার ক্ষেত্রে বা 'মহালয়া' ছবিতে 'উত্তমকুমার'-এর ভূমিকায় অভিনয় করার ক্ষেত্রে আমি ওনাদের মানবিক দিকটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে অনুকরণ করার চেষ্টা করিনি আমি। প্রথমত ওনার নখের যোগ্যও নই আমি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেউ আমার তুলনা করতে পারবেনই না বরং বলা ভালো করা উচিতই নয়। সেখানে আমি ওনার চরিত্রে অভিনয় করেছি... আমি এখনও জানি না। গোটা বিষয়টা নিয়ে আমি এখনও অবাক এবং একটা উত্তেজনা কাজ করে। তবে আমি আলাদা করে কোনও অনুশীলন করিনি। সৌমিত্র জ্যোঠুতে অনেকদিন থেকে চিনি আমি। ওনার কিছু কিছু জিনিস, যেমন হাঁটাটা একটু নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওনার কথা বলার ধরণ বা অন্যান্য অভ্যাস আমি অনুকরণ করার চেষ্টা করিনি। বরং ওনার চিন্তাধারাকে নিজের মতো করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমি আশাবাদী। ১৫ তারিখ রেজাল্ট বেরোবে।'