কলকাতা: নেতিবাচক চরিত্রে করতে আপত্তি নেই তাঁর, বরং 'ঝিন্দের বন্দি'-র ময়ূরবাহনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলে তাঁর সদব্যবহার করতে পারবেন বলেই মনে হয়েছিল যীশু সেনগুপ্তের। হঠাৎ কেন এমন ভাবনা? কারণ এই ভাবনা যখন তাঁর মাথায় এসেছিল, তখন তাঁর পরণে স্বয়ং ময়ূরবাহনের পোশাক। তাঁকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সেই কিংবদন্তি চরিত্রের আদলে।


ময়ূরবাহন হওয়ার স্বপ্ন


পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) পরিচালিত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) বায়োপিক 'অভিযান'। সেই ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বয়সকালের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি নিজে। আর অল্প বয়সের সৌমিত্র হয়েছেন যীশু সেনগুপ্ত। ছবি জুড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবির বিভিন্ন দৃশ্য। তপন সিংহ পরিচালিত 'ঝিন্দের বন্দি' ছবিতে কিংবদন্তি সেই ময়ূরবাহনের রুপেও দেখা গিয়েছে যীশুকে। আর সেই চরিত্রই নাকি যীশুর স্বপ্নের। এবিপি লাইভকে যীশু বললেন, 'কখনও ভাবিনি অভিনেতা হব। কিন্তু যখন থেকে অভিনয়ে এসেছি, ওই একটা চরিত্রের ওপরেই আমার লোভ। ময়ূরবাহন। আমি ছোট থেকে অনেকবার 'ঝিন্দের বন্দি' দেখেছি। আর যতবার দেখেছি, ততবারই ইচ্ছা হয়েছে পর্দায় নিজেকে ময়ূরবাহন হিসেবে দেখার।'


আরও পড়ুন: 'সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হইনি কখনও, মানুষের ভালোবাসাই পেয়েছি'


ময়ূরবাহনকে ছোঁয়া


এই ছবিতে কিছুটা হলেও সেই শখ পূরণ হল? হাসতে হাসতে অভিনেতা উত্তর দিলেন, 'কিছুটা। যদি কখনও 'ঝিন্দের বন্দি' আবার তৈরি হয়, আমি ময়ূরবাহনের চরিত্রে অভিনয় করতে চাইব। আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই গ্রে শেড থাকে। কেউ সাদা কালো হতে পারে না। আমার গ্রে শেডের চরিত্রে অভিনয় করার কোনও আপত্তি নেই। অভিযান -এ আমরা 'ঝিন্দের বন্দি'-র যে শটটা দেখিয়েছি, গোটা ছবির মধ্যে সেই জায়গাটা আমার দারুণ প্রিয় আর খুব মজার। যখন আমি ময়ূরবাহন সাজলাম, ওই কস্টিউমটা পরলাম... আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয়েছিল, ময়ূরবাহন হওয়ার সুযোগ এলে সেটাও বোধহয় আমি পারব। ভীষণ ভালো ছিল সেই অভিজ্ঞতাটা।'