মুম্বই:জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ বলিউডেও।রাজকুমার রাও, মনোজ বাজপেয়ী, রীমা কাগতি, নিমরত কউর সহ হিন্দি সিনেমা জগতের একাধিক তারকা পড়ুয়াদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলার কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন। রবিবার সন্ধেয় একদল মুখোশ পরিহিত দুষ্কৃতী ক্যাম্পাসে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ সহ অনেক পড়ুয়া জখম হয়েছেন। ঐশীকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার নিন্দা করে রাজকুমার রাও বলেছেন, জেএনইউ-তে যা হয়েছে তা খুবই লজ্জাজনক, ভয়ঙ্কর ও মর্মবিদারক। এই হামলার পিছনে যারা রয়েছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে।




কৃতি স্যাননের ট্যুইট- জেএনইউ-তে যা ঘটেছে, তা দেখে হৃদয় ভেঙে গিয়েছে! ভারতে যা চলছে তা খুবই আতঙ্কের!! পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মারধর করা হচ্ছে এবং মুখোশ পরা ভীরুর দল সন্ত্রস্ত করছে!! দোষারোপ চলছে! রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে একটা নীচে নামা যায়! হিংসা কোনও সমাধান নয়! আমরা এত অমানবিক হয়ে পড়লাম কীভাবে?




মনোজ বাজপেয়ী লিখেছেন, নিষ্ঠুর...ভয়াবহ..ভীতিপ্রদ..জেএনইউ-র ছবি খুবই অস্বস্তিকর। এর দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দা হওয়া উচিত। পরিস্থিতি এমন কখনও হয়ে দেওয়া যায় না, সেখানে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এতটা অসুরক্ষিত হয়ে পড়বে এবং যে কোনও সময়, ইচ্ছেমতো গুণ্ডারা ঢুকে পড়ে আঘাত করবে এবং ভয় দেখাবে।


সোনম কপূরের ট্যুইট-এই ঘটনায় স্তম্ভিত। খুবই জঘন্য ও কাপুরষোচিত। নিরীহদের ওপর আক্রমণের সময় মুখ দেখানোর সাহসটা অনন্ত থাকা দরকার ছিল।




মহেশ ভট্ট কড়া ভাষায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ফ্যাসিবাদ ভারতে এসেছে এবং তা জাতীয় নিরাপত্তার নামে। নীরবতা ভেঙে সমস্বরে এর নিন্দা করার সময় এসেছে।



রীমা কাগতি লিখেছেন, আমি পড়ুয়া ও ভারতের মানুষের পাশে। নৃশংসতা ও বর্বরতার জন্য সরকারকে ধিক্কার।



নিমরত কউর বলেছেন, দিনের পর দিন যা চলছে, যা খুবই বিরক্তিকর। এরপর কী? এরপর কে? এরপর কোথায়? সাম্প্রতিক ভয়াবহ নিগ্রহের ঘটনার ক্ষত শুকোনোর আগেই আমার তাদের অধিকারকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।



তাহির রাজ ভাসিনের ট্যুইট, পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে স্বর বন্ধ করার চেষ্টা মানে গণতন্ত্রের মৃত্যু।




অনুরাগ বসু লিখেছেন, পড়ুয়ারা যা বলে, করে বা বিশ্বাস করে তার জন্য সংগঠিত হামলা?! আধুনিক ভারতে নিজস্ব মতামত থাকাটা অপরাধ হল কবে থেকে! মুখ ঢেকে ফেল..বিশ্ব তোমাদের দেখছে..



অন্য এক ট্যুইটে অনুরাগ লিখেছেন, প্রতিরোধের বিশ্বাসযোগ্য কণ্ঠস্বর ও বিরোধিতার জন্য এদেশে পড়ুয়ারাই রয়েছে। এভাবে তাদের কন্ঠরোধ করা যায় না.. চেষ্টা চালিয়ে যাও।




সৈয়ামি খেরের ট্যুইট- জেএনইউ-তে যা ঘটেছে, তা খুবই মর্মবিদারক, ভয়াবহ ও আতঙ্কজনক। এই হিংসার সাফাইয়ের কোনও পথ নেই। আমরা প্রথমে ভারতীয়। এই কাপুরুষ মুখোশঢাকা আক্রমণকারীদের শাস্তিদানের প্রয়োজন।