কলকাতা: দেখতে দেখতে হাফ সেঞ্চুরি পার। ৫০ বছরের জন্মদিনে সুরকার জয় সরকরকে (Joy Sarkar) মিষ্টি ভিডিও কোলাজ করে শুভেচ্ছা জানালেন স্ত্রী ও জনপ্রিয় গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র (Lopamudra Mitra)। 


আজ সুরকার জয় সরকারের জন্মদিন। ৫০ বছর পূরণ করলেন তিনি। এমন স্পেশাল দিনে অনুরাগীরা শুভেচ্ছা বার্তায় ভরাতে শুরু করে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। দারুণ একটি ভিডিও পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লোপামুদ্রা মিত্রও। 


ভিডিওয় রয়েছে বিভিন্ন সময়ের জয়ের অজস্র ছবি। কোনও ছবি তিনি বিদেশে পোজ দিয়েছেন কোথাও আবার সঙ্গীত দুনিয়ার তাবড় তারকাদের সঙ্গে পোজ দিয়েছেন। কোথাও শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি তো কোথাও ফ্রেমে রয়েছেন কালিকাপ্রসাদ। বিভিন্ন ছবিতে রয়েছেন শ্রীকান্ত আচার্য থেকে শুরু করে শ্রেয়া ঘোষাল, শুভমিতা আরও অনেকে। ক্যাপশনে লিখলেন, '৫০ বছরের জন্মদিনে , শুভেচ্ছা।…' (অপরিবর্তিত)


 



এদিন জয় সরকারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তও।


অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করেন লোপামুদ্রা মিত্র। গত বছর করোনা অতিমারীর আবহে মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন লোপামুদ্রা। করোনা আক্রান্তদের মন ভাল করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। বিনামূল্যে অনলাইন কনসার্ট করে করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলা, গল্প করা, গান শোনানো, এমন অনেক কিছুই করেছেন তিনি।


আরও পড়ুন: Tollywood Corona Update: বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যা, করোনামুক্ত ঋতুপর্ণা, পরমব্রত, পার্নো, ঋতাভরীর পরিবার


করোনা আক্রান্তদের অবসাদ দূর করার এই অভিনব পরিকল্পনার শুরু কীভাবে? লোপামুদ্রা বলেছিলেন, 'আমি মনখারাপের রুগী। বিশ্বাস করি, মানুষের শরীরের অনেক কিছু নির্ভর করে মনের ওপর। শরীর সঙ্গে সমানভাবে যত্ন নেওয়া উচিত মনেরও। কিন্তু ভারতে মানসিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা খুব কম। অনেকেই বোঝেন না মনখারাপ নিজের সঙ্গে নিজের একটা যুদ্ধ। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে অনেকেই যেতে চান না। শুধু তাই নয়, মনখারাপকে লুকিয়া রাখার একটা প্রবণতাও রয়েছে বেশিরভাগ মানুষের। আমি মনরোগ বিশেষজ্ঞ নই। কিন্তু বিশ্বাস করি সুর মানুষের মনকে ভালো করে দিতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ। রোজ ১৫ জনকে নিয়ে এই চলছে এই গান-গল্পের আসর।'


তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের হাত থেকে রেহাই পাননি সঙ্গীতশিল্পী। লোপামুদ্রা বলেছিলেন, 'এখন সেলেব্রিটি কথাটাকে মানুষ যেন গালাগালির পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। সবাই ভাবে আমরা একটা স্বপ্নের জগতে থাকি। বাস্তবটা অনেকেই দেখতে চান না। শুনতে হয়েছে, 'আপনাদের তো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, এইসব করে কি হবে! একটু মানুষের পাশে দাঁড়ান।' বিনোদনকে সবসময়ই সবার শেষে রাখা হয়। মনখারাপ সারিয়ে তোলার যেন প্রয়োজনই নেই।'