কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি কার্যত ওলট পালট করে  দিয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। বিনোজন জগতেও গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে করোনা। আর সঙ্গীত জগৎ? মঞ্চে অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। বিলম্বিত হয়েছে ছবির কাজও। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও, সঙ্গীতজগতে কতটা গভীর ক্ষত করে গেল করোনা?


সঙ্গীতশিল্পী জয় সরকার বলছেন, 'আমাদের জীবনটাকে এখন দু'ভাগে ভাগ করা যায়, করোনার আগে ও পরে। কেবল শারীরিক নয়, মানসিক ক্ষতিও করে গেল করোনা।' এই পরিস্থিতিতে কোনও বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার প্রযোজন আছে বলে মনে করেন সঙ্গীতশিল্পী? জয় সরকার বললেন, 'সঙ্গীত জগত নিজের চেষ্টায় আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। লাইভ পারফরমেন্সের জায়গাটা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন আবার অনুষ্ঠান হচ্ছে। এখন টেকনিশিয়ানরা সবাই কাজে ফিরছেন।'


বাংলা ছবিকে বলিউড এমনকি দক্ষিণী ছবির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। আর বাংলা গানকে? জয় সরকার বলছেন, 'বাংলা গানকে চিরকালই লড়াই করতে হয়েছে। আমরা লড়াই করেই গানবাজনা করি। অন্যান্য ভাষা আছে, থাকবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বাংলা গানকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অন্যান্য কিছু রাজ্যে, দক্ষিণে সেখানকার ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়াটা আবশ্যিক। আমার মনে হয় বাংলাতেও তেমন নিয়মকানুন করা উচিত। এফএম স্টেশনে বাংলা গান বাজানো বাধ্যতামূলক করা উচিত। প্রেক্ষাগৃহে প্রাইম টাইমে বাংলা ছবি দেখানো বাধ্যতামূলক করা উচিত। তবে এই লড়াই চলবেই। আমরা লড়তে লড়তেই অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি।'


আরও পড়ুন: Saswata Chatterjee Exclusive: ইন্ডাস্ট্রিতে এসে প্রথম ১০ বছর নিজের নামটাই শুনতে পাইনি


সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে 'দার্জিলিং জমজমাট' (Dargeeling Jomjomat)। সেই সিরিজে মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে টোটা রায় চৌধুরীকে (Tota Roy Chowdhury)। এই সিরিজের সুরের দায়িত্ব সামলেছেন জয় সরকার। 'ফেলুদা' বলতেই যেন কানে লেগে থাকে সেই কিংবদন্তি মিউজিক। সঙ্গীতশিল্পীর ওপর কী বিশেষ প্রত্যাশার চাপ ছিল?


এবিপি লাইভকে জয় সরকার বললেন, 'ফেলুদা যাঁর সৃষ্টি, আমি তাঁর নখের যোগ্যও নই। ফেলুদার আবহসঙ্গীত কেমন হতে পারে সেটা উনি দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। আমি কেবল ফেলুদার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগ, নস্ট্যালজিয়া, আবহসঙ্গীতের মজাকে উদযাপন করতে চাই। দায়িত্ব হিসেবে ভাবলে সেটা পারব না।'